দ্রাবিড়-পুত্রর কথাতেই ভারতের নতুন কোচ নিয়োগ বলে মন্তব্য সৌরভের! এনসিএ প্রধান হচ্ছেন লক্ষ্মণ
রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ হওয়ায় বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমির প্রধানের পদ খালি রয়েছে। এখনও ঘোষণা হয়নি ভারতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফদের নামও। আজ ফাইনালেও ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেখা গিয়েছে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। এই ভূমিকায় আপাতত এরপর আর তাঁকে দেখা যাবে না। কারণ, এনসিএতে দ্রাবিড়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভিভিএস।
হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে অন্তত ২০০ দিন কাটাতে হবে বলে ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমির প্রধানের পদে বসতে প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না লক্ষ্মণ। একাধারে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর। এনসিএ-র দায়িত্ব নিলে সেই পদের পাশাপাশি ধারাভাষ্য, কলাম লেখার কাজও তিনি করতে পারবেন না। না হলে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠবে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের মতোই লক্ষ্মণকেও রাজি করিয়ে ফেলেছেন সৌরভরা। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ ইতিমধ্যেই আইপিএল দলের মেন্টরের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। ধারাভাষ্য ও কলাম লেখা থেকেও বিরত থাকবেন। ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা। তার আগেই লক্ষ্মণকে এনসিএ প্রধানের পদে বসানো হতে পারে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআইয়ের সভাপতি। রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ। ভিভিএস লক্ষ্মণ এনসিএ প্রধান। এমনিতেই ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে এনসিএ-র ভূমিকা অনস্বীকার্য। রাহুল দ্রাবিড় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এনসিএ সামলেছেন ২০১৯ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত। ফলে লক্ষ্মণই যোগ্য ব্যক্তি ওই পদে বসার জন্য। জানা গিয়েছে, রাহুল দ্রাবিড়ও এনসিএ-তে লক্ষ্মণকেই চাইছিলেন। ফলে ভারতীয় দলের সাপ্লাই লাইন ঠিক রাখতেও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া যেহেতু ভালো তাই এনসিএ প্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করতে সুবিধাই হবে ভারতীয় দলের হেড কোচের। বিশেষ করে লক্ষ্মণ ভারতীয় এ দল ও ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রস্তুতির দিকেও নজর রাখতে পারবেন।
দ্রাবিড় আপাতত ২ বছরের জন্য কোচ হলেও তাঁর প্রশিক্ষণে ভারত ভালো ফল করলে সেই মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে। দ্রাবিড়ও ভারতের কোচ হতে রাজি হচ্ছিলেন না। বোর্ডের প্রস্তাব ভেবে দেখতে কিছুটা সময় চেয়ে নেন। কোচের পদে আবেদনের শেষ দিনে তিনি আবেদন জমা করেন। দ্রাবিড়ের মন বদলাতেও প্রাক্তন সতীর্থ সৌরভের হাত রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। শারজায় এক অনুষ্ঠানে সৌরভ মজাচ্ছলে বলেছেন, রাহুলের ছেলে একদিন ফোন করে আমাকে বলে বাবা খুব কঠোর, তাই তাঁকে দূরে রাখানোর ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এরপর দ্রাবিড়কে ফোনে বলি এটাই ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার সেরা সময়। দ্রাবিড়ের কোচ হিসেবে সাফল্যের প্রত্যাশী সৌরভ আরও বলেন, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, প্রায় একই সময়ে খেলা শুরু করেছি, একসঙ্গে ক্রিকেট কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছি। তাই দলের প্রয়োজনেই তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়াও অনেক মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।