শুরু থেকেই কুম্বলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন কোহলি, ইচ্ছে করে কি সত্য ঢাকে বিসিসিআই
কুম্বলে ও কোহলির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকে নয়, বরং আরও অনেক আগে থেকেই হয়েছে। বিসিসিআইয়ের উচ্চ মহলের সূত্র মারফত এমন খবরই সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
অনিল কুম্বলে ও বিরাট কোহলির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকে নয়, বরং আরও অনেক আগে থেকেই হয়েছে। বিসিসিআইয়ের উচ্চ মহলের সূত্র মারফত এমন খবরই সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কুম্বলে-কোহলি একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। তাহলে কি বোর্ড সবকিছু জেনেও এতদিন ধরে সবকিছু চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছিল? উঠছে প্রশ্ন।
এছাড়াও আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য যা উঠে আসছে তা হল, শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি যারা কোচ পদে গতবছর অনিল কুম্বলেকে নিয়োগ করেছিল, তারা এবছর ফের একবার কুম্বলেকে নিয়োগের ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন।
ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি নাকি একেবারে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি কুম্বলের নিয়োগে। বরং তাদের বক্তব্য ছিল, পুরনো যা সমস্যা রয়েছে, তা চুকে গেলে তবেই কুম্বলেকে ফের জাতীয় দলের কোচ পদে নিয়োগে পূর্ণ সহমত দেওয়া যেতে পারে। এক বিসিসিআই আধিকারিক যিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ে লন্ডনে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এখবর জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে বিপর্যয়ের পরে ভারতীয় টিম হোটেলে আলাদা করে তিনটি মিটিং হয়। প্রথমে কুম্বলের সঙ্গে কথা বলে বিসিসিআই কর্তারা। তারপরে কুম্বলের কথা হয় ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সঙ্গে। তারপরে অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে সৌরভরা কথা বলেন।
একেবারে শেষে কুম্বলে ও কোহলিকে মুখোমুখি বসানো হয়। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। কারণ কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। বলা হচ্ছে, গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পর থেকেই কুম্বলে-কোহলির মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। বিসিসিআই আধিকারিকের কথায়, কোহলির নানা বিষয়ে নাকি হস্তক্ষেপ করছিলেন কুম্বলে। তাতেই অধিনায়ক ক্ষেপে যান। এদিকে কুম্বলেও নিজের সময়ে বিখ্যাত খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর স্বকীয় ভাবনা রয়েছে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যেটা কোহলির সঙ্গে মেলেনি। আর তাই শেষ অবধি কুম্বলেকেই বেরিয়ে আসতে হল।