বিরাট ও শুভমানের সেঞ্চুরি, ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯১ রানের টার্গেট দিল ভারত
বিরাট কোহলি ও শুভমান গিলের ব্য়াট থেকে এলো দুরন্ত শতরান। যার সুবাদে তিরুবনন্তপুরমে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ল ভারত। গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে বেশিরভাগই লো স্কোরিং ম্যাচ হয়ে থাকে। যদিও সেই ধারা এদিন আমূল বদলে দিয়ে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৯০ রান তুলল ভারত।
|
বিরাট শতরান
বিরাট কোহলি এই নিয়ে পঞ্চমবার একদিনের আন্তর্জাতিকে দেড়শোর বেশি রান করলেন। এদিন কেরিয়ারের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান করেন কিং কোহলি। ২০১২ সালে মীরপুরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন বিরাট। সেটাই তাঁর ওডিআই কেরিয়ারের সর্বাধিক। ২০১৮ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট ১৫৯ বলে ১৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেই রান টপকে আজ বিরাট করলেন ১১০ বলে অপরাজিত ১৬৬। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৩টি চার ও ৮টি ছয়।
গিলের সেঞ্চুরি
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতে ১৫.২ ওভারে ওঠে ৯৫। ২টি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪৯ বলে ৪২ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩১ রান যোগ করেন শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি। শুভমান গিল এদিন কেরিয়ারের দ্বিতীয় তথা দেশের মাটিতে প্রথম ওডিআই শতরানটি পেলেন। তিনি আউট হলে ৩৩.৪ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২২৬। শুভমানের ইনিংসে রয়েছে ১৪টি চার ও ২টি ছয়, তিনি ৯৭ বলে ১১৬ রান করেন।
|
ভারত ৩৯০
শেষ ১০ ওভারে ভারত ১১৬ রান তোলে। শেষ ৫ ওভারে আসে ৫৮ রান, তিন উইকেটের বিনিময়ে। শ্রেয়স আইয়ার ২টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৩২ বলে ৩৮। লোকেশ রাহুল পাঁচে নেমে ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন। হার্দিক পাণ্ডিয়াকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছে ভারত। তাঁর পরিবর্তে দলে এসে সূর্যকুমার যাদব এদিন করলেন ৪ বলে ৪ রান। নেমেই স্কুপ, রিভার্স স্কুপের মতো টি ২০-তে কার্যকরী শট মারতে থাকেন সূর্য। একবার জীবন পেয়েও নিজের রানকে দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি। সূর্য আউট হন ৪৮.৪ ওভারে, ভারতের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৩৭০। সেখান থেকে ভারত ৩৯০-এ পৌঁছে যায় বিরাটের দুরন্ত ব্য়াটিংয়ের সৌজন্যেই। ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।
|
কোহলি ঝড়ে বেসামাল লঙ্কা
শ্রীলঙ্কার মনোবল অবশ্য ধাক্কা খেয়েছে বিরাট কোহলি শতরান পূর্ণ করার ঠিক আগের বলে। বিরাটের শট রুখতে গিয়ে আশেন বান্দারা ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসের সংঘর্ষ হয় বাউন্ডারি লাইনের ধারে। বলটি চার হয়ে যাওয়ায় বিরাট পৌঁছে যান ৯৯ রানে। কিন্তু দেখা যায় দুই ক্রিকেটারই মাঠে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাঁদের স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দুই ক্রিকেটার যাঁদের পরিবর্তে এসেছিলেন সেই ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও দিনুথ ওয়েল্লালাগে ফিল্ডিং করতে নামেন পরিবর্ত হিসেবে। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা ২টি করে এবং চামিকা করুণারত্নে একটি উইকেট দখল করেন। রাজিথা ও কুমারা একটি করে মেডেন ওভার করলেও ১০ ওভারে যথাক্রমে ৮১ ও ৮৭ রান খরচ করেন।