ভারতের টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে মুখ খুললেন লোকেশ রাহুল, দিলেন বড় আশ্বাসও
দক্ষিণ আফ্রিকায় কাল থেকে শুরু একদিনের সিরিজ। খেলাগুলি হবে ১৯, ২১ ও ২৩ জানুয়ারি। দেশে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি করে ওয়ান ডে ও টি ২০ ম্যাচের সিরিজ খেলেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে কে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হবেন। জসপ্রীত বুমরাহর পর এবার লোকেশ রাহুল এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
বিরাট কোহলির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে সবার আগে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের সাদা বলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে তাঁর ক্ষেত্রে দুটি নেতিবাচক দিক হলো ফিটনেস আর বয়স। রোহিতের চোট প্রবণতা আর বয়স তিনজন ক্রিকেটারের টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার জল্পনায় ইন্ধন দিচ্ছে। এই তিন ক্রিকেটার হলেন লোকেশ রাহুল, জসপ্রীত বুমরাহ ও ঋষভ পন্থ। অনেকেই ঋষভ পন্থকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন। তবে ভালোভাবেই দৌড়ে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। ভারতকে একদিনের সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন রোহিতের অনুপস্থিতিতে। তিনি সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকায় সহ অধিনায়ক করা হয়েছে জসপ্রীত বুমরাহকে, তবে তাঁর নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা নেই। তবু বুমরাহ জানিয়েছেন, এখনই অধিনায়কত্ব নিয়ে না ভাবলেও সুযোগ এলে তিনি প্রস্তুত।
আজ সেই একই সুরে লোকেশ রাহুলও জানিয়ে দিলেন তিনিও সুযোগ পেলে দায়িত্ব পালনের জন্য তৈরি। তাঁর কথায়, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সকলের কাছেই স্বপ্নপূরণ, যে অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিন উপভোগ করা যায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। টেস্টে অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ এলে তা খুবই দারুণ ব্যাপার হবে। কিন্তু এখনই আমি সেটা নিয়ে ভাবছি না। যদি সুযোগ পাই, তাহলে ভারতীয় দল তথা ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজের সেরাটাই দেব। তবে বিভিন্ন নাম নিয়ে যে সংবাদমাধ্যমে জল্পনা চলছে সে প্রসঙ্গে আমি মাথা ঘামানোর প্রয়োজনও অনুভব করছি না । জোহানেসবার্গে টেস্টে অধিনায়কত্ব করার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। এটা আমার কাছে খুবই স্পেশ্যাল ছিল। ফলাফল প্রত্যাশিত না হলেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যে জন্য আমি গর্বিতও। আমি একজন মানুষ, ভুল হতেই পারে, তা থেকেই শিক্ষা নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্টে একবার নেতৃত্ব দিতে পরাজয়। আইপিএলে ২৭টির মধ্যে পাঞ্জাবকে ১২টি ম্যাচে জেতাতে পেরেছেন রাহুল। এই পরিসংখ্যানের প্রসঙ্গ উঠলে রাহুল বলেন, পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা আমাকে অনেকটা আত্মবিশ্বাসও দেয়। আমি একেকটা ম্যাচ অনুযায়ী চলতে ভালোবাসি, খুব উদ্বিগ্নও হই না, আবার খুব খুশি থাকতেও পছন্দ করি না। আমি ভারসাম্য বজায় রেখে চলি। আমাদের সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট জেতার পর সিরিজ জেতারও ভালো সুযোগ ছিল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি, কিন্তু এর মধ্যেও অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বিরাট-সহ আমি অনেক গ্রেট ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে খেলেছি। আমি যখন অধিনায়ক হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দেব তখন সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেই চলব। ভুল হতেই পারে। তবে এটাও ঠিক, অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা যত বাড়বে তত এই দায়িত্ব পালনের মানও উন্নত হবে। নতুন করে একদিনের সিরিজে আমরা ঝাঁপাতে প্রস্তুত। সেখানে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।