বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে দায়িত্ব বেড়েছে রাহুলের, টিম ম্যানেজমেন্টের থেকে কী নির্দেশ রয়েছে জানালেন কে এল
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে দায়িত্ব বেড়েছে রাহুলের, টিম ম্যানেজমেন্টের থেকে কী নির্দেশ রয়েছে জানালেন কে এল
রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় টিম ম্যানজমেন্ট বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছে কে এল রাহুলকে বাংলাদেশ সফরে। কে এল জানিয়েছেন তাঁকে বলা হয়, "উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করার জন্য এবং মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার জন্য তৈরি থাকো।" ২০২১ সালে কে এল রাহুল মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছিলেন এবং উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭৩ রান করার পাশাপাশি উইকেটের পিছনে ভারতের জার্সিতে আবারও দেখা যায় রাহুলকে।
গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ড্রপ করেন রাহুল:
বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিমের উপদেশে ঋষভ পন্থকে ওডিআই সিরিজের দল থেকে রিলিজ করে দেওয়ার ফলে দায়িত্ব বাড়ে কে এল রাহুলের। প্রথম ম্যাচে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছেন রাহুল। শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ওডিআই ম্যাচের সেরা মেহদি হাসান মিরাজের একটি এরিয়াল ক্যাচ ড্রপ করেন রাহুল। ওই ক্যাচটা তিনি ধরতে পারলে ম্যাচটা হেরে আসতে হত না ভারতকে।
মিডল অর্ডারে ব্যাটিং এবং উইকটরক্ষার দায়িত্ব দেয় দল:
পন্থের পরিবর্তে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে রাহুল বলেন, "গত ৮-৯ মাসে প্রচুর ওডিআই ম্যাচ আমরা খেলিনি, কিন্তু আপনি যদি ২০২০-২১-এর দিকে দেখেন তখনও কিন্তু আমি উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলাম এবং ৪ এবং ৫ নম্বরে ব্যাটিং করেছিলাম। এই দায়িত্ব পালন করার জন্য দল আমায় নির্দেশ দিয়েছিল কারণ আগেও এই দায়িত্ব যেহেতু আমি পালন করেছি।"
ঋষভকে কেন রিলিজ করা হল জানেন না রাহুল:
ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ কে এল রাহুল নিজেও। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে স্পষ্ট করেননি যে পন্থকে কি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য নাকি কোনও চোটের কারণে তিনি বিশ্রামে রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রাহুল বলেছেন, "সত্যি বলতে আমি ঋষভের এই বিষয়টায় জানি না। আমিও আজই জানতে পেরেছি যে ওকে রিলিজ করে দেওয়া হচ্ছে। কী কারণে রিলিজ করে দেওয়া হচ্ছে আমার মনে হয় তার উত্তর মেডিক্যাল টিমই দিতে পারবে।" পাশাপাশি রাহুল এ-ও জানিয়েছেন এই হারের জন্য ব্যাটসম্যান বা বোলার কোনও পক্ষকেই দোষ দেওয়া উচিৎ নয়।
শেষ পর্যন্ত থাকলে ২৩০-২৪০ রান ভারতের স্কোর বোর্ডে থাকত:
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজের ইনিংসের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, "এটা সেই রমক একটা দিন ছিল যেখানে দারুণ ভাবে ব্যাটে বলে সংযোগ করতে পারছিলাম আমি। যেই শটগুলো আমি খেলেছিলাম সেগুলো বাউন্ডারিতে গিয়ে শেষ হয়েছিল। এই ধরনের ইনিংস ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনাকে আনন্দ দেয় কারণ আপনি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন এবং দলের প্রয়োজনে দাঁড়াতে পেরেছেন। আরও ৪০ রান বেশি করতে পারতাম আমরা। আমি যদি শেষ পর্যন্ত বা ৪০ ওভার পর্যন্তও ব্যাটিং করতে পারতাম তা হলে ২৩০-২৪০ পর্যন্ত আমাদের রান পৌঁছে যেত। "
রাহুল দ্রাবিড় সহ শিবিরের বাকিদের সঙ্গে ৩৭ তম জন্মদিন পালন করলেন শিখর ধাওয়ান