(ছবি) সপ্তম আইপিএল জিতল নাইট রাইডার্স: আনন্দের চিত্রমালা
বেঙ্গালুরু, ২ জুন: কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে পরাস্ত করে বাজিমাত করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আনন্দ মাতলেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান। আনন্দ হওয়ারই কথা। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে যেভাবে জিতল কেকেআর, তাতে প্রশংসা ঝরে পড়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আরও পড়ুন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিতল রে কলকাতা নাইট রাইডার্স! অভিনন্দন মমতার
রোহিতের রেজোলিউশন
রোহিত শর্মা নিজের ২০১৭-র শেষদিনের অনুশীলনের শেষে করলেন পোস্ট। ২০১৭ সালটা কাঁপাকাঁপি পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন হিট ম্যান। কিন্তু ২০১৮ সালে আরও বড় পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
উচ্ছ্বসিত নায়ক
স্নায়ুর চাপ জয় করে শেষ পর্যন্ত জেতায় উচ্ছ্বসিত পীযূষ চাওলা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে।
একসঙ্গে ডিনার
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশেষ টিম ডিনারেও গিয়েছিলেন রোহিতের সঙ্গী স্ত্রী ঋতিকা সজদে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে ও তাঁর স্ত্রী, পার্থিব প্যাটেলরা। সেখানেও অসাধারণ ২০১৮ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রোহিত শর্মা।
কিং খান আনন্দে খানখান
দলের বিজয়ে প্রতিক্রিয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্ণধার শাহরুখ খানের।
স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিশ্রুতি
২০১৬-র ১৩ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রোহিত শর্মা ও ঋতিকা সজদে। তারপর থেকেই দুজনের পথচলার শুরু। স্ত্রীকে ভীষণই মান্য় করেন হিট-ম্যান। তাঁকেই মানেন লেডি লাক। ২০১৮ সালেও নিজের স্ত্রীকে একইরকম গুরুত্ব দেবেন তিনি এমন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাঁকে এতটাই গুরুত্ব দেন যে টিম ইন্ডিয়ার ১৭ তম সদস্য মানা হয়। ২০০ তম শতরানের দিনেও স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এবার তাঁরাও নতুন কেমিস্ট্রি উপহার দেবেন।
জয়লাভ যশলাভ
নিজের দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শাহরুখ খান।
মানুষ রোহিতের অঙ্গীকার
রোহিত শর্মার ক্রিকেটার রূপ , স্বামী রূপের পাশাপাশি মানবিক মুখও সামনে এল নতুন বছরে। তিনি অবলা পশুদের অধিকার রক্ষার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আর্জি জানিয়েছেন এগিয়ে আসার জন্য।
কিন্তু বুধবার প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে গ্য়ালারি থেকে ম্যাচ দেখলেন ঋতিকা। দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন হিটম্যান। একদিনের ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতরানটি সেরে নেন তিনি। পাশাপাশি নিজের এই ধামাকা পারফরম্যান্স উপহার হিসেবে স্ত্রী কেই উৎসর্গ করেন। ধরমশালায় ভারতীয় দলের নেতৃত্বের ব্যাটন পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। বিরাট বিয়ের ছুটিতে যাওয়ায় নেতৃত্বের ব্যাটন আসে রোহিতের হাতে। প্রথম ম্যাচে হতশ্রী হারের পর রোহিতের অঙ্গীকার ছিল ঘুরে দাঁড়াবে দল। রোহিতের কথামতোই দল ঘুরে দাঁড়াল। পাশাপাশি তিনি এমন ব্যাট দেখালেন যে হতবাক হয়ে গেল প্রতিপক্ষ, হতবাক দুনিয়াও।
ট্রফি হাতে একসাথে
জয়ের পর ট্রফি হাতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে, মুখে লেগে হাসিটুকু।
থ্রি চিয়ার্স ফর নাইট রাইডার্স...
ট্রফি হাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড়রা, বাঁধ মানল না উচ্ছ্বাস।
আনন্দের রকমফের
আনন্দে শুয়েই পড়লেন। সকলে ব্যস্ত ছবি তোলায়।