শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে, উঠছে প্রশ্ন
শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে। গোটা কেরিয়ারে খেলেছেন সতেরোটি ওয়ান-ডে। ব্যাটিঁং অ্যাভারেজ ১৫.৮৩, এমন কিছু নজরকাড়া নয়। সেই দিমুথ করুণারত্নেকেই শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপগামী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থকরা।

সম্প্রতি বাঘের গুহা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুণারত্নের অধিনায়কত্বে, এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের জন্যই তাঁকে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দলের পতাকা বহন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মূলত ওপেনিং স্পটের জন্য বাছাই, বছর তিরিশের করুণারত্নের, টেস্ট কেরিয়ারে ৩৬.০৫ গড়ে রয়েছে ৪০৭৪ রান। করেছেন আটটি সেঞ্চুরি। টেস্ট স্পেশালিস্ট করুণারত্নে সীমিত ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কী ক্যারিশমা দেখায়, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে দুনিয়া।
তবে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে তৈরি শ্রীলঙ্কার পনেরো জনের বিশ্বকাপ দলকে ঘিরে, স্বপ্ন দেখতেই পারেন সমর্থকরা। এমন একটা দল, বিশ্বকাপে যার পারফর্ম্যান্স বেশ চমকপ্রদ, সে দলে এবারও রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ অল-রাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। এই মুহূর্তে স্বপ্নের ফর্মে থাকা বুড়ো ঘোড়া লাসিথ মালিঙ্গা, জীবন মেন্ডিস, সুরঙ্গা লাকমল, থিসারা পেরেরারা কামাল দেখালে, ইংল্যান্ডে নীল পতাকা উড়তেই পারে বলে বিশ্বাসও করতে শুরু করেছেন শ্রীলঙ্কার মানুষ। সঙ্গে লাহিরু থিরিমান্নে, আভিষ্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরাদের মতো তারুণ্যের কম্বিনেশন, যে কোনো বড় দলের চিন্তা বাড়াতে পারে বলে ক্রিকেট বিশ্বের ধারণা।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপগামী দল : দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, লাসিথ মালিঙ্গা, জীবন মেন্ডিস, সুরঙ্গা লাকমল, থিসারা পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কুশল পেরেরা (উইকেটরক্ষক), লাহিরু থিরিমান্নে, আভিষ্কা ফার্নান্দো, জেফ্রি ভান্দার্সে, ইসুরু উড়ানা, নুয়ান প্রদীপ, মিলিন্দা সিরিওয়ার্দানা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা।