কপিলের জন্মদিনে সচিনের আবেগঘন বার্তা, রোহিত-বিরাটদের নিরুত্তাপ থাকা নিয়ে জল্পনা
কপিল দেবের আজ জন্মদিন। ৬৪ পূর্ণ করলেন হরিয়ানা হ্যারিকেন। তবে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত শুভেচ্ছা জানালেন না ভারতের প্রাক্তন ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিকভাবেই এর কারণ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে মন ছুঁয়ে গিয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের আবেগঘন শুভেচ্ছাবার্তা।
কপিল ৬৪
১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কপিল দেবের ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ১৯৮৯ সালে সচিন তেন্ডুলকরের টেস্ট অভিষেক হয় করাচিতে, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সেই টেস্টটি আবার ছিল কপিলের শততম টেস্ট। কপিল দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ৫৫ রান করেছিলেন। টেস্ট ড্র হলেও কপিলই হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা। কপিলের জন্মদিনে সচিন যে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা রীতিমতো ভাইরাল।
|
সচিনের বার্তা
সচিন বারেবারেই বলে থাকেন ভারতকে তিরাশির বিশ্বকাপ জিততে দেখে তিনি ক্রিকেটের প্রতি আরও আকৃষ্টই শুধু হননি, দেশকে ফের বিশ্বকাপ জেতাতে চেয়েছিলেন। যে স্বপ্নপূরণ হয়েছিল সচিনের শেষ বিশ্বকাপে, ২০১১ সালে। এদিন মাস্টার ব্লাস্টার টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে কপিল দেব কিছু বলছেন, পিছনে দাঁড়িয়ে সচিন। সচিন লিখেছেন, ১০ বছরের একটি ছেলে কপিল দেবকে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ নিতে দেখেছিল। তখন থেকেই সে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ভারতকে আবারও বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার। সেই ছেলেটি আমিই ছিলাম। কপিল পাজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সচিন লিখেছেন, লাখো লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করার ধারা আপনি বজায় রাখুন।
|
নিরুত্তাপ তারকারা
কপিলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিসিসিআই। তবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি-সহ বর্তমান ভারতীয় দলের তারকা ও প্রাক্তনদের অনেকেই কপিলকে এই প্রতিবেদন লেখা অবধি শুভেচ্ছা জানাননি। মনে করা হচ্ছে, স্পষ্ট কথা বলা কপিল দেব মাঝেমধ্যেই ভারতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের গঠনমূলক সমালোচনা করেন। হয়তো সেটাই কপিলের জন্মদিনে তাঁদের নিরুত্তাপ থাকার কারণ। বিরাট কোহলি যেখানে কপিলকে ২০২১ সালেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন, পরে কেন তিনিও আর সেই পথে হাঁটছেন না তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
নজরে রেকর্ড
এরই মধ্যে কপিল দেবের বেশ কিছু রেকর্ডের কথা আজ মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১৯৮৩ সালে আমেদাবাদে অধিনায়ক হিসেবে কপিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইনিংসে ৯ উইকেট নেন ৮৩ রানের বিনিময়ে। ওই বছর ১৮ টেস্টে তিনি ৭৫ উইকেট দখল করেছিলেন, যা রেকর্ড। আমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে দুই ইনিংসে তিনি ১৩৫ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন, ভারত অধিনায়ক হিসেবে এটিও রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর ৪৩৪ উইকেট ও ৫২৪৮ রান রয়েছে, আর কারও এই নজির নেই। ২১ বছর ২৫ দিনের মাথায় তিনি ১ হাজার রান ও ১০০ টেস্ট উইকেটের মালিক হন। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে নটিংহ্যামে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন, ওডিআই ইনিংসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ৫ উইকেট। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইয়ে ২৫০ উইকেট ও তিন হাজার রান করেছেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ১৭টি টেস্টে ৬১৯ রান করার পাশাপাশি ৭৪ উইকেট নেন। টেস্ট ইতিহাসে এই নজির কারও নেই। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপও জেতেন। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ে তিনি খেলেছিলেন অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস। ১৩১টি টেস্টে টেস্টে কপিলের উইকেট রয়েছে ৪৩৪টি, ওডিআইয়ে ২৫৩টি।
'৩ দিনের মধ্যে ৪৪ জন বিচারকের নামের তালিকা পাঠানো হবে', সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র