আইপিএল খেলার দরকার নেই! কপিল দেব কেন এমন পরামর্শ দিলেন?
করোনার আবির্ভাবের পর যখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেট ফের শুরু হয় তখনই বেশি করে সামনে আসে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট কিংবা মানসিক ক্লান্তির বিষয়টি। ঠাসা ক্রীড়াসূচির মধ্যেই কিছু সময়ের বিরতি নিয়ে অনেকেই মাঠে ফিরেছেন। রোটেশন পদ্ধতিরও বেশি ব্যবহার শুরু হয়। তবে ভারতের হয়ে খেলার সময়ই বিশ্রাম নেওয়ার প্রবণতাকে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই সমর্থন করেন না। তাঁদের মধ্যে অন্যতম তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।
স্পষ্ট কথা বলার মানুষ কপিল দেব এবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলে দিলেন, যদি কোনও ক্রিকেটার মনে করেন তিনি খুব চাপের মধ্যে রয়েছেন তাহলে তাঁর আইপিএল খেলার দরকার নেই। কপিলের কথায়, অনেক সময়ই টিভিতে শুনি আইপিএল খেলায় ক্রিকেটারদের উপর অত্যধিক চাপ পড়ছে। এক্ষেত্রে আমি একটা কথাই বলব, আইপিএল খেলার দরকার নেই! যদি কোনও ক্রিকেটারের খেলার জন্য প্যাশন থাকে তাহলে তাঁর চাপ বলে কিছু থাকে না। উল্লেখ্য, কপিল দেবের বিভিন্ন সময় করা সমালোচনাকে অনেকেই যে ভালোভাবে না তা ঠারেঠোরে তাঁরা বুঝিয়েও দেন। আইপিএল না খেলার পরামর্শকে ক্রিকেটাররা কী চোখে দেখবেন সেদিকেও নজর রাখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
Nailed it 👏🏽👏🏽 @therealkapildev pic.twitter.com/Wbs86nyEQh
— Aces Middle East (@Aces_sports) October 8, 2022
কপিল আরও বলেন, আমি আমেরিকান শব্দ প্রেসার কিংবা ডিপ্রেশনের অর্থ বুঝি না। কৃষক পরিবার থেকে এসেছি খেলার প্রতি প্যাশন নিয়ে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতাম যাতে খেলার সময় বৃষ্টি না হয়। ক্রিকেটকে উপভোগ করেছি বলেই খেলেছি। ভালোবাসাতেও চাপ থাকে না। খেলার প্রতি ভালোবাসা আমাদের অটুট। ফলে খেলা উপভোগ করলে সেখানে চাপ বলে কিছুই থাকে না। কপিল মজা করে বলেন, এখন পড়ুয়ারাও চাপের কথা বলে। কীসের চাপ? এসি স্কুলে পড়াশোনা, মা-বাবা পড়ার খরচ বহন করেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা কারও গায়ে হাত দিতে পারেন না। তারপরেও চাপ থাকে কীভাবে? আমাদের সময় তো শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটু এদিক-ওদিক দেখলেই থাপ্পড় মারতেন!
ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে শার্লটি ডিনকে মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে রান আউট করেছিলেন দীপ্তি শর্মা। তা নিয়ে বিতর্ক হয়। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন কপিল দেব। তাঁর কথায়, এই ধরনের আউট নিয়ে বিতর্ক বন্ধে নতুন নিয়ম চালু করা উচিত। যেখানে ডেলিভারির আগে ক্রিজ থেকে ব্যাটার বেরিয়ে গেলে যে রানটি হবে তাকে শর্ট রান হিসেবে চিহ্নিত করা। অর্থাৎ ব্যাটারের থেকে একটা রান কেটে নেওয়া হবে। এটা করলেও মানকাডিং নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে মনে করেন কপিল।