IPL 2022: জস বাটলারের বিধ্বংসী শতরানে একাধিক নজির, দিল্লি ক্যাপিটালসকে শক্ত চ্যালেঞ্জ রাজস্থান রয়্যালসের
আইপিএলে ফের বিধ্বংসী শতরান জস বাটলারের ব্যাটে। এদিন ওয়াংখেড়েতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পেলেন চলতি আইপিএলের তৃতীয় শতরান। সেই সঙ্গে আইপিএলে তাঁর মোট শতরানের সংখ্যা দাঁড়াল চার। সেই নিরিখে বাটলার স্পর্শ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও শেন ওয়াটসনকে। নিজের শেষ আটটি আইপিএল ইনিংসের চারটিতেই শতরান হাঁকালেন বাটলার।
|
ফের শতরান বাটলারের
জস বাটলার এদিন অর্ধশতরান পূর্ণ করতে নিয়েছিলেন ৩৬ বল। শতরান পূর্ণ করতে নেন আর ২১টি বল। মজার পরিসংখ্যান হলো, বাটলার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা অবধি মেরেছিলেন চারটি করে চার ও ছয়। শতরান পূর্ণ করার সময় তাঁর নামের পাশে ৮টি চার, ৮টি ছয়। ১৯তম ওভারের শেষ বলে বাটলারের উইকেট ফেলতে সক্ষম হন মুস্তাফিজুর রহমান। ৯টি করে চার ও ছয় মেরে ৬৫ বলে ১১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাটলার। ২০২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের।
|
চলতি আইপিএলে সর্বাধিক
চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন ৩৫, পরের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১০০। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে করেন ১৩। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৫৪, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১০৩ করার পর আজ বাটলার করলেন চলতি আইপিএলে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রান।
|
বিরাট নজির স্পর্শের মুখে
চলতি আইপিএলে আর একটি শতরান পূর্ণ করলেই বিরাট কোহলিকে দুটি নজিরে স্পর্শ করবেন জস বাটলার। কোনও আইপিএল মরশুমে সবচেয়ে বেশ চারটি শতরানের নজির রয়েছে বিরাটের দখলে। সেই সঙ্গে আরেকটি শতরানে বাটলারেরও আইপিএল শতরানের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ৬টি শতরান রয়েছে ক্রিস গেইলের। তিনি ২০১১ সালের আইপিএলে ২টি এবং ২০১২, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে একটি করে শতরান করেছিলেন। বিরাট কোহলির রয়েছে ৫টি শতরান। তার মধ্যে ২০১৬ সালের আইপিএলে তিনি ১৬ ম্যাচে ৬৪০ রান করেছিলেন চারটি শতরান ও সাতটি অর্ধশতরানের সৌজন্যে। আইপিএলে চারটি করে শতরান রয়েছে শেন ওয়াটসন ও ডেভিড ওয়ার্নারের। কিন্তু তাঁদের কেউই কোনও একটি আইপিএল মরশুমে তিনটি শতরান করেননি। ওয়াটসন ২০১৮ সালে দুটি এবং ২০১৩ ও ২০১৫ সালে একটি করে শতরান করেছিলেন। ওয়ার্নার ২০১০, ২০১২, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে একটি করে শতরান হাঁকান।
|
পার্টনারশিপে রেকর্ড
আজ টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ১৫ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১৫৫ রান। ষোড়শ ওভারের প্রথম বলে দেবদত্ত পাড়িক্কলের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন ওঠে। আম্পায়ার নিখিল পটবর্ধন আউট না দিলে রিভিউ নেয় দিল্লি। তাতে দেখা যায় বল উইকেটে লাগছে। সাতটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৪ রান করেন পাড়িক্কল। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৪৪। ৬.৫ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয়। প্রথম স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে রাজস্থানের স্কোর ছিল ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৮। ১১তম ওভারে ১০০ রান পূর্ণ হয়। বাটলার-পাড়িক্কল জুটিতে শতরানের পার্টনারশিপ হয় মাত্র ৬৬ বলে। পাড়িক্কল ৩১ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছিলেন। ১৪.৩ ওভারে ১৫০ হয়ে যায় রাজস্থানের। এদিন বাটলার ও পাড়িক্কলের ১৫৫ রানের পার্টনারশিপ রাজস্থান রয়্যালসের ক্ষেত্রে সর্বাধিক। তাঁরা ভেঙে দিলেন সঞ্জু স্যামসন ও বেন স্টোকসের অবিচ্ছেদ্য ১৫২ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ডটি।
|
দিল্লির টার্গেট
নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তুলেছে রাজস্থান রয়্যালস। যা এবারের টুর্নামেন্টের সর্বাধিক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২১৭ তুলেছিল রাজস্থান। এদিন সেই রান টপকে গেল তারা। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ১৯ বলে ৪৬ করে অপরাজিত থাকলেন সঞ্জু স্যামসন। টি ২০ ক্রিকেটে এদিন পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করলেন রাজস্থান অধিনায়ক। ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেটমায়ার। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৪৩ ও খলিল আহমেদ ৪৭ রানের বিনিময়ে ১টি করে উইকেট পান। কুলদীপ যাদব ৩ ওভারে ৪০ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। অক্ষর প্যাটেল ২ ওভারে ২১ রান দেন। ললিত যাদব প্রথম ২ ওভারে ৬ রান দিলেও পরের দুই ওভারে দেন ৩৫ রান। কুলদীপ, অক্ষরদের দিয়ে না বোলিং করিয়ে টানা ললিতকে দিয়ে পন্থ কেন মারমুখী বাটলারের বিরুদ্ধে বোলিং করালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শার্দুল ঠাকুর ৩ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ২৯ রান দেন।