আইপিএলে স্যাম কারানকে নিয়ে কেন দুশ্চিন্তায় পাঞ্জাব কিংস? রেকর্ড দর কীভাবে অভিশাপ?
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক দরে স্যাম কারানকে এবার দলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে সেটাই তাদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। আইপিএলের প্রথম বছর থেকে আজ অবধি যে ১৫টি সংস্করণ হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি দামে ক্রিকেটার কিনে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র ১ বার।
২০০৮ সালের আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলারে কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সে বছর চ্যাম্পিয়ন হয় রাজস্থান রয়্যালস। ২০০৯ সালের আইপিএলে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফকে চেন্নাই সুপার কিংস ও কেভিন পিটারসেনকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কেনে ১৫.৫ লক্ষ মার্কিন ডলারে। সে বছর চেন্নাই সুপার কিংস সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়, আরসিবি রানার-আপ হয়েছিল। ২০১০ সালে শেন বন্ডকে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কায়রন পোলার্ডকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিনেছিল ৭.৫ লক্ষ মার্কিন ডলারে। কেকেআর ষষ্ঠ স্থানে ছিল, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রানার আপ হয়। ২০১১ সালের আইপিএলে ২৪ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়েছিল গৌতম গম্ভীরকে। সেবার ফাইনালেই উঠতে পারেনি কেকেআর। ২০১২ সালের আইপিএলে ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস, রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকে সিএসকে।
২০১৩ সালের আইপিএলে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই একবারই সর্বাধিক দরের ক্রিকেটারকে নিয়ে দল গড়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০১৪ সালের আইপিএলে ১৪ কোটি টাকায় যুবরাজ সিংকে নিয়ে আরসিবি সপ্তম হয়। ২০১৬ সালে যুবির দর ওঠে ১৬ কোটি, সেবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলস সপ্তম হয়। ২০১৬ সালের আইপিএলে শেন ওয়াটসনকে সাড়ে ৯ কোটি টাকায় কিনেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আরসিবি। ২০১৭ সালে বেন স্টোকসের দর ওঠে ১৪.৫ কোটি টাকা, সেবার রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস রানার-আপ হয়। পরের বছর স্টোকস ১২.৫ কোটি টাকায় যান রাজস্থান রয়্য়ালসে। সেবার চতুর্থ স্থান দখল করেছিল রাজস্থান। ২০১৯ সালের আইপিএলে বরুণ চক্রবর্তী ৮.৪ কোটি টাকায় পাঞ্জাব কিংসে যান, পাঞ্জাব হয়েছিল ষষ্ঠ। সমপরিমাণ অর্থেই ওই বছর জয়দেব উনাদকাটকে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস, শেষ করে সপ্তম হয়ে।
২০২০ সালের আইপিএলে প্যাট কামিন্সকে কেকেআর কিনেছিল ১৫.৫ কোটি টাকায়, কেকেআর পঞ্চম স্থান পায়। ২০২১ সালে ১৬.২৫ কোটি টাকায় ক্রিস মরিসকে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস, অভিযান শেষ করে সপ্তম স্থানে থেকে। ২০২২ সালের আইপিএলে ঈশান কিষাণকে সর্বাধিক ১৫.২৫ কোটি টাকায় কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ১০ দলের মধ্যে দশম স্থান পায় রোহিত শর্মার দল। আইপিএলের সর্বাধিক দামের ক্রিকেটারকে নিয়ে বিভিন্ন দলের রানার-আপ হওয়ার নজির রয়েছে ৬ বার। পাঞ্জাব কিংসের কপালে কী অপেক্ষা করে রয়েছে সেটাই দেখার।