IPL 2022: আইপিএল নিলামে অবিক্রিত রজত পাতিদারকে নিয়ে উচ্ছ্বাস আরসিবি ড্রেসিংরুমে, গড়লেন কোন নজিরগুলি?
আইপিএল নিলামে অবিক্রিত ছিলেন। তবে লাভনিথ সিসোদিয়ার চোট এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে বড় আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিল। সিসোদিয়া চোটের কারণে ছিটকে যেতেই পাতিদারকে নিতে দেরি করেনি আরসিবি। তারপর থেকেই বিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসিদের দলের হয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। তবে জীবনের সেরা ইনিংসটা খেললেন ইডেনে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। ম্যাচ উইনার পাতিদারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আরসিবি ড্রেসিংরুম। কাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালোর।
|
প্লে অফে শতরান
গতকালের এলিমিনেটরে ম্যাচের সেরা রজত পাতিদার ৫৪ বলে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলেন। ১২টি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে। পাতিদার ও দীনেশ কার্তিক শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রান তুলেছিলেন, সেটিই ফারাক গড়ে দিল ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে। আইপিএলের প্লে অফের ইতিহাসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে পাতিদারই প্রথম শতরান হাঁকালেন। এর আগে, ২০১১ সালে আরসিবির হয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ক্রিস গেইল ৮৯ রান করেছিলেন। পাতিদারের আগে যাঁরা আইপিএল প্লে অফে শতরান করেছেন তাঁরা হলেন- বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (২০১৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ১২২), শেন ওয়াটসন (২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১৭), ঋদ্ধিমান সাহা (২০১৪ সালের ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১৫) এবং মুরলী বিজয় (২০১২ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১১৩)।
আনক্যাপড শতরানকারী
দেশের হয়ে খেলার আগেই আইপিএলে শতরানকারীদের তালিকায় রজত পাতিদার পঞ্চম ব্যাটার। এর আগে, ২০০৮ সালে শন মার্শ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১১৫ রান করেছিলেন। ২০০৯ সালে মণীশ পাণ্ডে আরসিবির হয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১৪ রান করেছিলেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পল ভালতাতি ২০১১ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে করেন অপরাজিত ১২০। আরসিবির হয়ে দেবদত্ত পাড়িক্কল গত বছরের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
|
স্পিনারদের বিরুদ্ধে
গতকাল পাতিদারের স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৩.৬৩। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ও রবি বিষ্ণোইয়ের ২২ বলে ৫৮ রান করেন পাতিদার। ২০১৯ সালে কেকেআর ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়া স্পিনারদের বিরুদ্ধে ৬৭ রান তোলেন ২৯১.৩ স্ট্রাইক রেট রেখে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ স্পিনারদের বিরুদ্ধে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২৮৬.৪ ও চলতি বছর দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে ডেভন কনওয়ে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ২৭০ স্ট্রাইক রেট রেখে ব্যাটিং করেন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক রেটের নিরিখে পাতিদারের ইনিংসটি রইল চতুর্থ স্থানে। রজতের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন সচিন তেন্ডুলকর।
|
সপ্তম শতরান
চলতি আইপিএলের সপ্তম শতরানটি এসেছে রজত পাতিদারের ব্যাট থেকে। ২০১৬ সালের আইপিএলেও সাতটি শতরান হয়েছিল। এবারের আইপিএলের মতোই ২০১৬ সালের আইপিএলেও মোট চারজন ব্যাটার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালের আইপিএলে শতরান হয়েছিল ৬টি, সেবার ছয়জন ব্যাটার শতরান হাঁকিয়েছিলেন।
The customary team victory song, some banter with Shahbaz and Siraj, Coach Hesson summarising the game and Harshal explaining his mindset bowling under pressure and at the death, in part 2 of our Game Day video from Eden Gardens last night.#PlayBold #IPL2022 #RCB #ನಮ್ಮRCB pic.twitter.com/DgvNwCJyu9
— Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) May 26, 2022