IPL 2022: সুনীল নারিন আইপিএলে প্রথম বিদেশি স্পিনার হিসেবে গড়লেন অনন্য নজির
আইপিএলে এক অনবদ্য মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন সুনীল নারিন। কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়া তিনি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেননি। সেই কেকেআরের জার্সি গায়েই এবার তিনি স্পর্শ করলেন ১৫০ উইকেটের মাইলস্টোন। প্রথম বিদেশি স্পিনার হিসেবে। দিল্লি ক্যাপিটালসের ললিত যাদবকে লেগ বিফোর করে তিনি এই অনন্য নজিরটি গড়লেন।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে সুনীল নারিন কোনও উইকেট পাননি। তার আগে চলতি আইপিএলে তিনি রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দুটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। দুটি ম্যাচেই খরচ করেছিলেন ২১ রান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে পেয়েছিলেন একটি করে উইকেট। আজ দশম ওভারের তৃতীয় বলে ডেভিড ওয়ার্নার ও ললিত যাদবের জুটি ভেঙেছিলেন উমেশ যাদব। তার পরের ওভারের শেষ বলেই তিনি ললিত যাদবের উইকেট তুলে নিলে ১১ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৮৪। ২৯ বলে ২২ রান করার পর আম্পায়ারের দেওয়া লেগ বিফোরের সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচতে ললিত রিভিউ নেননি। ফলে নিশ্চিত হয় নারিনের ১৫০তম উইকেট।
আইপিএলে নবম ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মালিক হলেন নারিন। আইপিএলে সর্বাধিক উইকেটশিকারীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ডোয়েইন ব্র্যাভো (১৫৮ ম্যাচে ১৮১ উইকেট)। এরপর যথাক্রমে লাসিথ মালিঙ্গা (১৭০), অমিত মিশ্র (১৬৬), যুজবেন্দ্র চাহাল (১৫৭), পীযূষ চাওলা (১৫৭), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৫২), ভুবনেশ্বর কুমার (১৫১), হরভজন সিং (১৫০) ও সুনীল নারিন (১৫০)।
চাহাল, অশ্বিন, ভুবনেশ্বরের পর চলতি আইপিএলে ১৫০তম আইপিএল উইকেট দখলের মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন নারিন নিজের ১৪৩তম ম্যাচে। ভুবনেশ্বর কুমারের দখলে ১৫১টি উইকেট রয়েছে ১৪০টি ম্যাচে। চাহাল ১২২টি ম্যাচে ১৫৭ উইকেট পেয়েছেন। অশ্বিন ১৭৫টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ১৫২টি উইকেটের মালিক। অমিত মিশ্র ১৬৬টি উইকেট পেয়েছেন ১৫৪ ম্যাচে। হরভজন সিংয়ের ১৫০ উইকেট রয়েছে ১৬৩ ম্যাচে। ফলে নারিন হলেন ষষ্ঠ স্পিনার এবং প্রথম বিদেশি স্পিনার যিনি আইপিএলে ১৫০টি উইকেট পেলেন। নারিন কেকেআরের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি এমনটাও জানিয়েছেন, আইপিএলে শেষ ম্যাচটিও খেলতে চান নাইট জার্সিতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে চলেছেন সুনীল নারিন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরেই বোলিং আক্রমণের তিনিই প্রধান অস্ত্র। যখনই জুটি ভাঙার দরকার হয় অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দেন তিনি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে।