IPL 2022: লখনউ অল আউট ৮২ রানে! রশিদের চার উইকেটে প্লে অফে গুজরাত টাইটান্স
লখনউ সুপার জায়ান্টসকে উড়িয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে পৌঁছে গেল গুজরাত টাইটান্স। লখনউ সুপার জায়ান্টস হারল ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে। জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ১৪৫ রানের। কিন্তু ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে গেল লোকেশ রাহুলের দল। রশিদ খান নিলেন ৪ উইকেট। গুজরাত টাইটান্স ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে গেল ০.৩৭৬ নেট রান রেট নিয়ে। লখনউ ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে এসেছে, নেট রান রেট কমে ০.৩৮৫। ফলে কাল রাজস্থান রয়্যালস (০.৩২৬) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিতলে লখনউ তিনে নেমে যাবে।
ব্যাটিং বিপর্যয়
জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দরকার ছিল উইকেটে থিতু হওয়া। তাহলেই জেতা সম্ভব বলে ম্যাচের মাঝে জানিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের পেসার আবেশ খান। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করে টানা চার ম্যাচ জেতার পর আজ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ল লোকেশ রাহুলের দল। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারের মধ্যে পড়ে তিন উইকেট। ৩.৩ ওভারে দলের ১৯ রানের মাথায় আউট হন কুইন্টন ডি কক। ১০ বলে ১১ রান করে তিনি যশ দয়ালের বলে আউট হন। ৪.৫ ওভারে মহম্মদ শামির বলে কট বিহাইন্ড হন লোকেশ রাহুল। ১৬ বলে ৮ রান করে তিনি আউট হলে লখনউয়ের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২৪।
অনবদ্য বোলিং গুজরাতের
৫.৫ ওভারে ৩৩ রানে পড়েছিল তৃতীয় উইকেট। ৪ বলে ৪ রান করে যশ দয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন করণ শর্মা। ৭.৩ ওভারে দলের ৪৫ রানে আউট হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ৫ বলে ৫ রান করে তিনি রশিদ খানের বলে স্টাম্প আউট হন। ১০.৫ ওভারে ৬১ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আর সাই কিশোর তুলে নেন আয়ুষ বাদোনি (১১ বলে ৮)-র উইকেট। আর তিন ওভারের মধ্যে মাত্র ২১ রানে বাকি পাঁচটি উইকেট হারায় গুজরাত টাইটান্স। ১৩.১ ওভারে ৭০ রানের মাথায় আউট হয়েছিলেন দীপক হুডা। তিনি করেন সর্বাধিক ২৬ বলে ২৭।
|
৮২ রানেই শেষ
১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুটি ছক্কা হাঁকান আবেশ খান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে হুডাকে ফিরিয়েছিলেন রশিদ। এই ওভারের পঞ্চম বলেই তিনি আবেশের উইকেট নিয়ে লখনউ ইনিংসে যবনিকা টানলেন। তবে এ ক্ষেত্রে ঋদ্ধিমান সাহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আবেশের ক্যাচ ধরে ঋদ্ধি আবেদন করলেও রশিদ করেননি। কিন্তু ঋদ্ধি নিশ্চিত থাকায় রিভিউ নেন হার্দিক। দেখা যায় বল আবেশের ব্য়াটে লেগেছে। ডি কক, হুডা ও আবেশ ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের রানেই পৌঁছাতে পারেননি। ঋদ্ধি দুটি ক্যাচ ধরেছেন, দুটি স্টাম্প আউট। এমনকী মার্কাস স্টইনিসকে রান আউট করার পিছনেও তাঁর অবদান রয়েছে। স্টইনিস ২, জেসন হোল্ডার ১, মহসীন খান ১ রান করেন। একটিও বল না খেলে অপরাজিত থাকেন দুষ্মন্ত চামিরা।
রশিদের চার উইকেট
রশিদ খান ৩.৫ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন। আর সাই কিশোর ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ২টি এবং যশ দয়াল ২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। মহম্মদ শামি ৩ ওভারে ৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান। হার্দিক আজ এক ওভার বল করেছেন, দেন ৮ রান। আলজারি জোসেফ ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
ম্যাচের সেরা গিল
এর আগে, টস জিতে ব্য়াট করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে পৌঁছেছিল গুজরাত টাইটান্স। শুভমান গিল ৪৯ বলে ৬৩ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ১৬ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। ডেভিড মিলার করেন ২৪ বলে ২৬। পরাজয়ের কারণ হিসেবে লোকেশ রাহুল উল্লেখ করেছেন, খারাপ শট সিলেকশনকে। স্টইনিসের রান আউটকেও দুর্ভাগ্যজনক হিসেবেই মনে করছেন। তবে এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী তিনি। দলের বোলিং নিয়েও সন্তুষ্ট লখনউ অধিনায়ক। রশিদ খান নিজের পারফরম্যান্সে খুশি, খুশি দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে। চলতি আইপিএলে তাঁর উইকেট সংখ্যা হলো ১৫। উমেশ যাদব ও উমরান মালিকেরও ১৫টি করে উইকেট রয়েছে। তবে উমরানের চেয়ে ইকনমি কম হওয়ায় এগিয়ে রশিদ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন শুভমান গিল।