আইপিএলে আমেদাবাদকে নিয়ে জটিলতা! মেগা নিলাম পিছিয়েই যাচ্ছে, কারণটা গুরুতর
আইপিএলের পরবর্তী সংস্করণ ভারতেই আয়োজন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। নতুন দুটি দলও কিনেছে দুটি সংস্থা। কিন্তু শুরু থেকেই লখনউ টেক্কা দিয়ে চলেছে আমেদাবাদকে। লখনউ দলের মালিকানা সবচেয়ে বেশি অর্থের বিনিময়ে নিয়েছে আরপিএসজি গ্রুপ। অন্যদিকে, সিভিসি নিয়েছে আমেদাবাদের মালিকানা। আর তাতেই যাবতীয় বিপত্তি। যার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে মেগা নিলাম।

বিসিসিআই প্রথমে জানিয়েছিল ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পুরানো ৮টি দলকে জানিয়ে দিতে হবে কোন ক্রিকেটারদের তারা ধরে রাখতে চাইছে। নির্ধারিত সময়েই সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন দুটি দলকে তিনজন করে ক্রিকেটার নিলামের আগে বেছে নিতেও বলা হয়েছিল। সেই সময়সীমা রয়েছে ২৫ ডিসেম্বর অবধি। লখনউ কোচ হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও মেন্টর হিসেবে গৌতম গম্ভীরকে নিযুক্ত করেছে। লোকেশ রাহুলকে অধিনায়ক করার বিষয়টিও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে খবর।

কিন্তু আমেদাবাদ আদৌ আইপিএলে খেলতে পারবে কিনা সেটাই এখনও স্পষ্ট নয়। যে সিভিসি ক্যাপিটাল আমেদাবাদের দলটি কিনেছে তাদের বেটিং সংস্থায় বিনিয়োগের কথা বোর্ডের গোচরে এসেছে। এরপরই এই বিষয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি জেনে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টের উপরই নির্ভর করবে আইপিএলে আমেদাবাদ আদৌ খেলতে পারবে কিনা কিংবা আইপিএল ১০ নাকি ৯ দলকে নিয়ে হবে। বোর্ডসূত্রে খবর, রাহুলের লখনউয়ে সই করা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কিন্তু আমেদাবাদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে এখনই ক্রিকেটারদের সই করানো থেকে বিরত থাকতে লখনউকে বলা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমেদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।

বিসিসিআইয়ের পরিকল্পনা ছিল আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্বের নিলাম প্রক্রিয়াটিও জানুয়ারির মধ্যে সেরে ফেলার। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের মেগা নিলাম নতুন বছরের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহেই করে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না বলেই বোর্ডসূত্রে খবর। আমেদাবাদের বিষয়টির নিষ্পত্তি হলে ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হবে। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে বোর্ডের আধিকারিকরা মনে করছেন, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের আগে মেগা নিলাম করাই যাবে না। এমনকী তা হতে পারে জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে। ভারতীয় দলে রবি শাস্ত্রীর কোচ হিসেবে মেয়াদ ফুরানোর পর থেকে তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় দলে তাঁর সময়কার কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে শাস্ত্রীই আমেদাবাদের কোচ হতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে সিভিসি নিয়ে কমিটির রিপোর্টের উপর।