আইপিএলে দুর্ধর্ষ মুম্বইকে বেগ দিল লড়াকু হায়দরাবাদ, টেনেটুনে ১৫০ তুললেন রোহিতরা
আইপিএলে দুর্ধর্ষ মুম্বইকে বোতলবন্দি করল লড়াকু হায়দরাবাদ
চিপকের মন্থর পিচের সুযোগ নিয়ে দুর্ধর্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে কার্যত বোতলবন্দি করে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিজয় শংকর, মুজিব উর রহমানদের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আশা জাগিয়েও আহামরি ব্যাটিং করতে পারলেন না রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি ককরা।
আইপিএলের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বড় রান খাড়া করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এই মাঠে পরে ব্যাট করে ম্যাচ কঠিন হবে বলে মনে করেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।
সেই মতো ম্যাচে মুম্বইয়ের শুরুটা দুর্দান্তভাবে হয়। দুই ওপেনারের মধ্যে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। ২৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চালিয়ে খেলতে গিয়ে বিজয় শংকরের বলে শেষ হয় দুটি চার ও দুটি ছক্কা দিয়ে সাজানো মুম্বই অধিনায়কের ইনিংস। দুর্দান্ত একটি চার ও ছক্কার মাধ্যমে ৫ বলে ১০ রানে পৌঁছে যান সূর্যকুমার যাদব। ষষ্ঠ বলে তিনি আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। ফলো থ্রু-তে সূর্যের ক্যাচ ধরেন বিজয় শংকর।
এরপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন দলের উইকেটরক্ষক তথা ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ৩৯ বলে ৪০ রান করে তুলে মারতে গিয়ে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার। পাঁচটি চার আসে ডি ককের ব্যাট থেকে। অন্যান্য দিনের থেকে আজ চিপকের পিচ বেশি মন্থর হওয়ার ফায়দা তুলে নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলররা।
হায়দরাবাদের স্পিনার রশিদ খানের বল খেলতে সমস্যায় পড়েন মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা। তবু তারই মধ্যে ঠান্ডা মাথায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করে যান কাইরন পোলার্ড। বেশ কিছুক্ষণ শান্ত থাকার পর মুজিবের বলে লম্বা ছক্কা হাঁকান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। সেই দেখাদেখি তুলে মারতে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইশান। ২১ বলে ১২ রান করে প্রমাণ করেন যে এই ম্যাচে তিনি একেবারেই ছন্দে ছিলেন না।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মন্থর উইকেটে সমস্যায় পড়েন হার্দিক পান্ডিয়াও। ইতিমধ্যে খলিল আহমেদের বলে কাইরন পোলার্ডের ক্যাচ মিস করেন বিজয় শংকর। তবে পরের বলেই পান্ডিয়ার (৭) উইকেট তুলে নেন খলিল। তুলে মারতে গিয়ে বিরাট সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অল রাউন্ডার। ইনিংসের শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন বিজয় শংকর ও মুজিব উর রহমান। এক উইকেট নেন খলিল আহমেদ।