করোনা সংক্রমণের জেরে মহারাষ্ট্র থেকে সরতে পারে আইপিএল
মহারাষ্ট্রে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর জেরে মহারাষ্ট্র থেকে সরতে পারে আইপিএল। বিসিসিআই সূত্রে খবর, আগেই মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতেই একমাত্র দর্শকশূন্য অবস্থায় আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু তারপরেও সেই রাজ্যে যা করোনা পরিস্থিতি তাতে আইপিএল মুম্বইয়েও আয়োজন করবে না বিসিসিআই। যে শহরগুলিতে আইপিএল আয়োজনের জন্য বোর্ড ভাবছে সেগুলি হলো, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ ও দিল্লি। মোহালি ও জয়পুরে ম্যাচ আয়োজনের দাবি জানিয়েছে সেখানকার ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
এবারই প্রথম
গত বছর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফলে মুম্বইয়েই এবার আইপিএল উদ্বোধন ও ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। আইপিএল নিলামের সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল মুম্বই ও পুনেতে দলগুলিকে রাখা হবে। বিসিসিআই এটাও ভেবেছিল মুম্বইয়ের চারটি স্টেডিয়ামে (ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন, ডিওয়াই পাতিল ও রিলায়েন্স) আইপিএলের গ্রুপ পর্যায়ের খেলাগুলি আয়োজন করে নক আউট পর্বের ম্যাচগুলি আমেদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে। তবে মহারাষ্ট্র সরকার দর্শকশূন্য ওয়াংখেড়েতে আইপিএল আয়োজনের অনুমতি দিলেও বাকিগুলিতে দিচ্ছিল না। করোনা সংক্রমণও বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। এই অবস্থায় পুনেতে ভারত-ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজের ম্যাচগুলি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হবে। যদিও সংক্রমণের পরিস্থিতি দেখে বোর্ড মুম্বইয়ে আইপিএল আয়োজনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে এই প্রথম ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের কোনও ম্যাচ হবে না মহারাষ্ট্রে।
নির্বাচনের প্রভাব আইপিএলে
এপ্রিলের ৮ থেকে্ ১২ তারিখের মধ্যে বিসিসিআই আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করলেও এখনও ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা যায়নি। আইপিএল কোথায় কোথায় হবে তা চূড়ান্ত করার আগে বোর্ডের নজর ছিল নির্বাচন কমিশনের দিকেও। কারণ, বাংলা ও তামিলনাড়ু ভোট। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল অবধি আট দফায় ভোট হবে বাংলায়। তামিলনাড়ুতে ভোট হবে ৬ এপ্রিল। আইপিএল এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ বা জুনের প্রথম সপ্তাহ অবধি চলবে। সবদিক বিবেচনা করে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে বৈঠক করেছেন বিসিসিআই কর্তারা।
মুম্বইকে বাদ রেখেই আইপিএল
আমেদাবাদে গোলাপি বলে টেস্ট চলার মধ্যেই আইপিএল নিয়ে বৈঠক করেছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ও অন্তর্বর্তী চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হেমাঙ্গ আমিন। সেখানেই উঠে আসে করোনার পরিসংখ্যান। যেখানে দেখা গিয়েছে ভারতে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর অর্ধেকই আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। ফলে সেই বৈঠকেই মুম্বইয়ের নাম বাদ পড়ে আইপিএলের সম্ভাব্য কেন্দ্রের তালিকা থেকে। ভারতে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ কোটি ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে আজ। আজকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ৬৩৯৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।
শিগগিরই সিদ্ধান্ত
হায়দরাবাদ আইপিএল আয়োজনের সম্ভাব্য তালিকায় প্রথমে না থাকায় সরব হয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী থেকে শুরু করে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন। জয়পুর ও মোহালিতে ম্যাচ আয়োজনেরও দাবি তুলেছে রাজস্থান রয়্যালস ও পঞ্জাব কিংস। কোন যুক্তিতে সেখানে ম্যাচ দেওয়া হচ্ছে না তার কারণ জানতে চাইছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রকাশ করা হবে ক্রীড়াসূচিও। কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি, তারা এখনও বোর্ডের পদক্ষেপ ঘিরে অন্ধকারেই।