দুরন্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে অতি সাবধানী কেকেআরকে বড় রান তুলতে দিল না রাজস্থান
অতি সাবধানী ব্যাটিংয়ের পরও ব্যাটিং বিপর্যয়। সে কারণেই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৮তম ওভারে আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিককে আউট করার পর শেষ ওভারে প্যাট কামিন্স ও শিবম মাভিকে আউট করেন আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মরিস। এদিন দুরন্ত ফিল্ডিং করেন রিয়ান পরাগও। ২০ ওভারে কেকেআর তোলে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
টস জিতে এদিন ফিল্ডিং নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই পাঁচ উইকেট পড়েছিল বলেই কিনা বোঝা গেল না, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার শুভমান গিল ও নীতীশ রানা। এতে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি চাপ বাড়াতে থাকে দুরন্ত ফিল্ডিং। এদিনও ব্যর্থ ওপেনাররা। ৫.৪ ওভারে শুভমান গিল ১৯ বলে ১১ রান করে রান আউট হন দলের স্কোরবোর্ডে তখন উঠেছে মাত্র ২৪। একবার জীবন পেলেও ফর্মে ফিরতে পারলেন না গিল, জস বাটলারের সরাসরি থ্রো-তে রান আউট হন। পাওয়ারপ্লে-তে কেকেআরের স্কোর ছিল ৬ ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ২৫ রান।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
নবম ওভারের ৪৫ রানের মাথায় চেতন সাকারিয়ার বলে কট বিহাইন্ড হন নীতীশ রানা। আরসিবি-র বিরুদ্ধে একটিও উইকেট নিতে পারেননি রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা। সাকারিয়া রানাকে আউট করায় ২৩.৩ ওভার পর রাজস্থানের কোনও বোলার উইকেট পেলেন। সুনীল নারিনকে চারে তুলে আনা হলেও কাজে লাগেনি। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ৭ বলে ৬ রান করে জয়দেব উনাদকাটের শিকার হন নারিন। এর তিন বল পরেই নাইটদের আরও সমস্যা বাড়ায় অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের আউট। একটিও বল না খেলে রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মর্গ্যান।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
এরপর ত্রিপাঠির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু চেন্নাই ম্যাচের মতো ঝড় কুলতে পারেননি। ১৫ ওভারে কেকেআরের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৩। ১৫.২ ওভারে দলের ৯৪ রানের মাথায় রাহুল ত্রিপাঠির উইকেট হারায় কেকেআর। ২৬ বলে ৩৬ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানকে তুলে মারতে গিয়ে রিয়ান পরাগের হাতে ধরা পড়েন রাহুল। দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে ভর করে একশো রান পেরোলেও কেকেআর বড় রান তুলতে পারল না রাসেল আজ ফর্মে না থাকায়। ১৮তম ওভারে রাসেল ও কার্তিককে ফেরান ক্রিস মরিস। রাসেল ৯ ও কার্তিক ২৫ রানে আউট হন। শেষ ওভারে ১০ রানে আউট হন প্যাট কামিন্স।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
শ্রেয়স গোপালের জায়গায় এদিন প্রথম একাদশে ফিরে এবং বোলিং ওপেন করে চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট। ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং করে চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন ক্রিস মরিস।