চেন্নাইয়ের কাছে হারের পর শাস্তির কোপে নাইট অধিনায়ক মর্গ্যান
চেন্নাই থেকে মুম্বইয়ে এসেও বদলাল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্যের চাকা। বরং ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জঘন্য ট্র্যাক রেকর্ড, একটি বাদে সব ম্যাচেই হার, ওয়াংখেড়ের এই দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে কেকেআরকে। এবারের আইপিএলে দলের পরাজয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ওয়াংখেড়েতেই শাস্তির কোপে পড়লেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
স্লো ওভার রেটের ফাঁদে এই ম্যাচে জড়িয়ে পড়ল কেকেআর। এবারের আইপিএলে এটি প্রথম অপরাধ বলে মর্গ্যানের ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। তবে খুব সতর্ক থাকতে হবে আগামী দুটি ম্যাচেই। ফের এই দুটি ম্যাচের মধ্যে কোনওটিতে স্লো ওভার রেটের ফাঁদে জড়ালে নাইট অধিনায়ককে দুই থেকে চারটি ম্যাচে নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে। সম্প্রতি এই বিপদ দারুণভাবেই কাটিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম ম্যাচে সিএসকে স্লো ওভার রেটে ফাঁদে পড়ায় ধোনির জরিমানা হয়। তবে তারপর থেকেই দেখা গিয়েছে অধিনায়ককে শাস্তির মুখ থেকে বাঁচাতে সতীর্থ, বিশেষ করে বোলারদের তৎপরতা। তারপর থেকে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে ধোনিবাহিনী এখন লিগ তালিকার শীর্ষে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
নাইটদের এদিন ৩১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ৫০ বা তার কমে ৫ উইকেট হারানোর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও দল দুশোর বেশি রান করল। দুটি ম্যাচেই অবশ্য আন্দ্রে রাসেলের অবদান রয়েছে। ২০১৮ সালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে গিয়ে জামাইকা তাল্লাওয়াহ-র ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৪১ রানে। সেখান থেকে ৩ বল বাকি থাকতে জামাইকাকে জেতান রাসেল ৪৯ বলে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ছটি চার ও ১৩টি ছক্কা মেরেছিলেন। সিএসকে-র বিরুদ্ধে ২২ বলে ৫৪ করেন রাসেল। তিনটি চার ও ছটি ছক্কার সাহায্যে। ২৪ বলে ৪০ করেন দীনেশ কার্তিক। চারটি চার ও ছটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৬ করে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স। ৫ বল বাকি থাকতে অবশ্য ১৮ রানে ম্যাচ জেতে সিএসকে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
নাইট অধিনায়ক মর্গ্যান কামিন্স, রাসেল ও কার্তিকের প্রশংসা করে বলেন, তাঁদের জন্যই শেষ অবধি আমরা লড়াই করতে পেরেছি। মিডল ও লোয়ার অর্ডার অসাধারণ ভালো লড়াই করেছে। তবে প্রথম পাঁচ ওভারের ব্যাটিংয়ের কারণে জেতা গেল না। দ্রে রাসকে এমন ফর্মে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। ওঁকে আমরা সঙ্গত দিতে পারলাম না ভেবে খারাপ লাগছে। বোলারদের দোষ দিতে চাই না। নতুন মাঠে কঠিন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যেভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছি তাতে সন্তুষ্ট।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
দলের জয়ে খুশি মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ২২০ তোলার পরও আমার সতীর্থদের বলেছিলাম বিপক্ষকে সমীহ করতে হবে। আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। এই উইকেটে এই রান তুলে ফেলা অসম্ভব কিছু নয়। আইপিএলে সব দলেই হার্ড হিটার রয়েছেন। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ফর্মে ফেরাতেও তৃপ্ত সিএসকে অধিনায়ক।