ধোনির সঙ্গে তুলনা টানা পছন্দ নয় রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের
২০১৩-র ১৪ এপ্রিল আইপিএল অভিষেক। দিন পনেরো পরই আরসিবি ম্যাচে ৪১ বলে ৬৩ রান করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন কেরলের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ১৮ বছরের সঞ্জু স্যামসন এ জন্য ম্যাচের সেরার ট্রফিই শুধু পাননি, সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে আইপিএল হাফ সেঞ্চুরি করার নজিরও গড়েন। পরে সেই রেকর্ড ভাঙেন রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগ। প্রথম মরশুম থেকেই ক্রমাগত উন্নতি করে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এবার সঞ্জু স্যামসন নামবেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হিসেবে। গতবারের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সাফল্যের সরণিতে ফিরতে সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বেই আস্থা রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস।
এবার অধিনায়ক
রাজস্থান রয়্যালসের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাতকারে সঞ্জু স্যামসন বলেন, অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে ভালো লাগছে। দলকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতও রয়েছি। অনেক কিছু পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে। তবে সব কিছু সাধারণ রেখেই দায়িত্ব পালন করতে চাই। তবে গত বছর অবধি আমি ভাবতেই পারিনি যে রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দেব। ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার মনোজ বাদালের কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারি যখন তিনি বলেন আমাকে অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করতে।
কিংবদন্তিদের থেকে শেখা
কুমার সঙ্গকারার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সঞ্জু। তিনি বলেন, সঙ্গকারার কথা শুনলেই তাঁর কভার ড্রাইভ চোখের সামনে ভাসে, তাঁর ব্যাটিং দেখতে আমি খুব ভালোবাসতাম। তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাই আমার কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। কুমার সঙ্গকারার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই। রাহুল দ্রাবিড়, মাহেলা জয়বর্ধনে, কুমার সঙ্গকারা, রিকি পন্টিংরা একেকজন কিংবদন্তি। তাঁদের সব কিছুই পারফেক্ট লাগে আমার কাছে।
দল নিয়ে
দল নিয়ে খুশি স্যামসন বলেন, যেখানে যেমন ক্রিকেটার প্রয়োজন ছিল নিলাম থেকে তেমন ক্রিকেটারদেরই নেওয়া হয়েছে। এই মরশুমে প্রত্যেকের অবদান দলের পক্ষে মূল্যবান হবে। নাগপুর আকাদেমিতে ট্রায়াল থেকে জোরে বোলার কুলদীপ যাদব ও চেতন শাকারিয়াকে নেওয়া হয়েছে। আগেও যাঁরা প্রথম আইপিএল খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে তাঁরা ভালো করেছেন, এই দুদনের জন্যও শুভেচ্ছা রইল।
ধোনির তুলনা নেই
মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তাঁর তুলনা টানেন অনেকে। যদিও তাতে একেবারেই সায় নেয় সঞ্জুর। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আমি বিশ্বাস করি মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো কেউ হতে পারবে না। আমি নিজের মতোই থাকতে চাই। সঞ্জু স্যামসনই যথেষ্ট। অবসর সময় কীভাবে কাটান সেই প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জু স্যামসন জানান, এমনিতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্পগুজব, হাসি-ঠাট্টা করতে ভালোবাসি। যখন হোটেলের ঘরে একা থাকি তখন বই পড়তে ও মুভি দেখতে ভালোবাসি। দৃশ্যম ২ দেখেছি। মোহনলালের ছবি দেখতে ভালো লাগে। তামিল, মালয়ালম, ইংরেজি ও পঞ্জাবি গান শুনতে পছন্দ করি। আসন্ন আইপিএলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোই যে তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য সে কথাও জানিয়ে দিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক।