দুরন্ত শিখরে শিখরে পন্থরা, চলতি আইপিএলে রাহুলহীন পাঞ্জাব দ্বিতীয়বার পরাস্ত দিল্লির কাছে
চলতি আইপিএলে ফিরতি ম্যাচেও পাঞ্জাব কিংসকে পরাস্ত করল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম সাক্ষাতে পন্থরা রাহুলদের হারিয়েছিলেন ৬ উইকেটে। পাঞ্জাবের দেওয়া ১৯৬ টার্গেটে চার উইকেট হারিয়েই পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লি। ৪৯ বলে ৯২ রান করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ১০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। রাহুলহীন পাঞ্জাব আজ আমেদাবাদে দিল্লির সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখে ১৬৭। এবারের আইপিএলে শিখর ধাওয়ানের তৃতীয় অর্ধশতরানের সুবাদে ১৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়েই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি। ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করায় আটটি ম্যাচে ৩৮০ রান হলো ধাওয়ানের।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
জয়ের জন্য ১৬৭ রানের তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করে দিল্লি। শিখর ধাওয়ান জানিয়েছেন, পৃথ্বী শ যেভাবে ব্যাটিং করেন তাতে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলা অনেকটাই সহজ ও চাপমুক্ত হয়। পাওয়ারপ্লে-তে ৬ ওভারে ৬৩ রান তোলার পর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে হরপ্রীত ব্রার ফেরান পৃথ্বী শ-কে। আগের ম্যাচে ব্রার বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট পেয়েছিলেন ব্রার। এদিন ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। পৃথ্বী শ তিনটি করে চার ও ছয় মেরে ২২ বলে ৩৯ রান করেন। এরপর স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১১১ রান অবধি নিয়ে যান শিখর। ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন স্টিভ স্মিথ, তাঁকে ফেরান মেয়ারডিথ। ১১ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি ঋষভ পন্থ। পন্থ ক্রিস জর্ডনের শিকার।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
যদিও এরপরও দলকে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শিখর ও শিমরন হেটমায়ার। একটি চার ও দুটি ছক্কা মেরে চার বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। শিখর এদিন অপরাজিত থাকলেন ৪৭ বলে ৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ছটি চার ও দুটি ছয়। এদিন লোকেশ রাহুলকে টপকে ফের কমলা টুপির মালিক হলেন শিখর। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চলে গেলেন পন্থরা।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের পর কবে ফর্মে থাকা পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মাঠে ফিরতে পারবেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি না থাকায় দলে ফিরে এদিন পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। আটটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৫৮ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন ময়াঙ্ক। ডেভিড মালান করেন ২৬। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান তুলেছিল পাঞ্জাব কিংস। ৯ বলে ১৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন ক্রিস গেইল। তাঁকে এরপর থেকে ওপেন করানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তনরা। রাবাডা ৩৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। আবেশ খান ও অক্ষর প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন।