ভক্তের ভগবান! রোহিতের কাছ থেকে দিল্লির পেসার পেলেন অমূল্য উপহার, জানুন আবেশের কিছু তথ্য
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে আর চেন্নাইয়ের চিপক। উইকেটে আকাশ-পাতাল ফারাক। তবে চিপকে গিয়েই গতকাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। অমিত মিশ্রর ২৪ রানে চার উইকেট, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের রিভার্স ক্যারম বলে রোহিতকে বোকা বানানো তো আছেই, এই ম্যাচেও দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন পেসার আবেশ খান। চার ম্যাচে আট উইকেট পেয়ে তিনি উইকেটশিকারীদের তালিকায় রয়েছেন আরসিবি-র হর্ষল প্যাটেলের পরেই। সেই আবেশই ম্যাচের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়কের কাছ থেকে পেলেন অমূল্য উপহার।
রোহিত-আবেশ
এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই হয়েছিল তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ। ছিটকে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে তিনি ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। সূর্যকুমার যাদব ও রাহুল চাহারের উইকেট পেলেও রোহিত শর্মার উইকেট পাননি। তবে তিনি যে কতটা রোহিত-ভক্ত তার প্রমাণ মিলল ম্যাচের শেষেই। নিজের জার্সিতে রোহিত শর্মার অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন। দল হারলেও হাসিমুখেই ভক্ত আবেশের আবদার মেটালেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।
ছবি-
বিসিসিআই/আইপিএল
আইপিএলে আবেশ
এবারের
আইপিএলে
দুরন্ত
ছন্দে
রয়েছেন
আবেশ।
চেন্নাই
সুপার
কিংসের
বিরুদ্ধে
৪
ওভারে
২৩
রান
দিয়ে
পেয়েছিলেন
ফাফ
দু
প্লেসি
ও
মহেন্দ্র
সিং
ধোনির
উইকেট।
রাজস্থান
রয়্যালসের
কাছে
দিল্লি
ক্যাপিটালস
হারলেও
এই
ম্যাচে
৪
ওভার
হাত
ঘুরিয়ে
৩২
রান
খরচ
করে
শিবম
দুবে,
ডেভিড
মিলার
ও
রিয়ান
পরাগকে
আউট
করেন
আবেশ।
পাঞ্জাব
কিংসের
বিরুদ্ধে
৪
ওভার
বল
করে
৩৩
রানের
বিনিময়ে
১টি
উইকেট
পান,
আউট
করেন
নিকোলাস
পুরাণকে।
মাঝের
ওভার,
বিশেষ
করে
ডেথ
ওভারে
ঋষভ
পন্থের
বড়
অস্ত্র
হয়ে
উঠছেন
আবেশ।
ছবি-
বিসিসিআই/আইপিএল
আবেশের উত্থান
মধ্যপ্রদেশের
ইন্দোরের
আবেশ
২০১৪
ও
২০১৬
সালের
অনূর্ধ্ব
১৯
বিশ্বকাপ
খেলেছেন।
২০১৪
সালে
কয়েকটা
উইকেট
পেলেও
২০১৬-র
বিশ্বকাপে
ভারতীয়
বোলিং
আক্রমণকে
নেতৃত্ব
দেন।
৬টি
ম্যাচে
১২টি
উইকেট
নিয়েছিলেন,
ভারতীয়দের
মধ্যে
সবচেয়ে
বেশি।
১৭
বছর
বয়সে
ওই
বিশ্বকাপে
ঘণ্টায়
১৩৮
মাইল
বেগে
বল
করেছিলেন।
২০১৩-১৪
সালে
যুব
এশিয়া
কাপে
তিনি
অনূর্ধ্ব
১৯
দলে
প্রথম
সুযোগ
পান।
২০১৪-১৫
মরশুমে
মধ্যপ্রদেশের
হয়ে
রঞ্জি
অভিষেক।
তবে
২০১৬
সালের
অনূর্ধ্ব
১৯
বিশ্বকাপ
খেলতে
গিয়ে
সে
বছরের
রঞ্জি
খেলতে
পারেননি।
প্রথম
শ্রেণির
২৬টি
ম্যাচে
আবেশের
উইকেটসংখ্যা
১০০।
সেরা
বোলিং
ফিগার
২৪
রানে
৭
উইকেট
এবং
ম্যাচে
সেরা
বোলিং
ফিগার
৫৪
রানের
বিনিময়ে
১২
উইকেট।
৫০
ওভারের
ক্রিকেটে
১৬
ম্যাচে
১০
উইকেট
রয়েছে,
টি
২০-তে
উইকেটসংখ্যা
৩১
ম্যাচে
৪০টি।
ভারতীয়
এ
দলের
হয়ে
খেলেছেন,
ভারতীয়
দলের
সঙ্গে
নেট
বোলার
হিসেবেও
ছিলেন
দক্ষিণ
আফ্রিকা
ও
ইংল্যান্ড
সিরিজে।
২১
বছর
বয়সে
দক্ষিণ
আফ্রিকা
সফরে
নেট
বোলার
হিসেবে
ছিলেন।
আইপিএলের
আগে
ইংল্যান্ডের
বিরুদ্ধে
সিরিজেও
নেট
বোলার
হিসেবে
ডাক
পান।
ছবি-
বিসিসিআই/আইপিএল
ছন্দ রেখেই আইপিএলে
ভারতীয়
দলের
সঙ্গে
নেট
বোলার
হিসেবে
ডাক
পাওয়ার
আগে
সৈয়দ
মুস্তাক
আলি
টি
২০-তেও
দুরন্ত
ছন্দে
ছিলেন
আবেশ।
৫টি
ম্যাচে
১৪টি
উইকেট
নেন।
বিদর্ভের
বিরুদ্ধে
১৭
রানে
৫
উইকেট
নেওয়ার
আগের
ম্যাচে
রাজস্থানের
বিরুদ্ধে
২২
রানে
৪
উইকেট
নেন।
এ
ছাড়া
সার্ভিসেসের
বিরুদ্ধে
২৩
রানে
৩
উইকেট
নেন।
২০১৭
সালে
আবেশের
আইপিএল
অভিষেক
হয়
রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স
ব্যাঙ্গালোর
জার্সিতে।
সেবার
আরসিবির
শেষ
ম্যাচে
সঞ্জু
স্যামসনকে
আউট
করেছিলেন।
২০১৮
সালে
দিল্লির
ফ্র্যাঞ্চাইজিতে
সুযোগ
পান।
২০১৮
থেকে
২০২০
অবধি
দিল্লি
ক্যাপিটালসের
হয়ে
৮টি
ম্যাচ
খেলেছেন।
তবে
এবার
প্রতিটি
ম্যাচেই
নিজের
জায়গা
পাকা
করে
ফেলেছেন।
পার্পল
ক্যাপের
দৌড়েও
রয়েছেন
প্রথম
সারিতে।
ছোটবেলায়
তাঁর
কোচ
ছিলেন
প্রাক্তন
ভারতীয়
ক্রিকেটার
অময়
খুরাশিয়া।
ভারতে
অনূর্ধ্ব
১৯
দলে
থাকাকালীন
রাহুল
দ্রাবিড়ের
পরামর্শে
নিজেকে
সমৃদ্ধ
করে
বোলিংকে
আরও
ক্ষুরধার
করেছেন।
দিল্লি
ক্যাপিটালস
শিবিরে
কোচ
রিকি
পন্টিংয়ের
তত্ত্বাবধানে
নিজেকে
আরও
উন্নত
করাই
লক্ষ্য
আবেশের।
ছবি-
বিসিসিআই/আইপিএল