নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে পাখির চোখ আইপিএল খেতাব, দিল্লি ক্যাপিটালসের শক্তি ও ক্রীড়াসূচি জানুন
চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। বৃহস্পতিবার ৮ এপ্রিল তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। ঋষভ পন্থ এবার নেতৃত্ব দেবেন গতবারের ফাইনালিস্ট দিল্লি ক্যাপিটালসকে। পন্থ যে বিধ্বংসী ফর্মে আছেন এবং স্টিভ স্মিথ-সহ যে ক্রিকেটারদের নিলাম থেকে তুলে নিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে, তাতে দিল্লি ক্যাপিটালস পাখির চোখ করছে আইপিএল খেতাবকেই। রিকি পন্টিং থেকে মহম্মদ কাইফ সকলেই অধিনায়ক ঋষভকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তাঁরাও চাইছেন গতবারের চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে ট্রফি জিততে। উল্লেখ্য, গতবার আইপিএল ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে একতরফা ম্যাচে হেরে গিয়েছিল শ্রেয়সের নেতৃত্বাধীন দল। তবে লিগ তালিকায় দুইয়ে থাকার সুবাদে কোয়ালিফায়ার-২-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে দিল্লি ক্যাপিটালস।
শক্তি বাড়িয়েছে দিল্লি
উইকেটকিপার অধিনায়ক ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছেন লুকমান মেরিওয়ালা, এম সিদ্ধার্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অমিত মিশ্র, স্টিভ স্মিথ, আবেশ খান, অ্যানরিক নর্টজে, মার্কাস, স্টইনিস, স্যাম বিলিংস (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, বিষ্ণু বিনোদ, টম কারান, রিপল প্যাটেল, ক্রিস ওকস, শিখর ধাওয়ান, কাগিসো রাবাডা, উমেশ যাদব, প্রবীণ দুবে, অজিঙ্ক রাহানে, শিমরন হেটমায়ার, ইশান্ত শর্মা, ললিত যাদব, পৃথ্বী শ। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং দলের হেড কোচ। সহকারী কোচ মহম্মদ কাইফ ও অজয় রাতরা। ব্যাটিং পরামর্শদাতার ভূমিকায় আছেন প্রবীণ আমরে। বোলিং কোচ জেমস হোপস।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
অক্ষর প্যাটেল করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রথম ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই। দেশের হয়ে খেলে দলের সঙ্গে যোগ দিতে দেরি হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচের আগে রাবাডা ও নর্টজেকেও পাবে না দিল্লি ক্যাপিটালস। ফলে স্টিভ স্মিথ প্রথম ম্যাচে অন্তত প্রথম একাদশে থাকছেনই। এই ম্যাচে তাঁকে চার বিদেশির মধ্যে জায়গা করে নিতে লড়াইয়ে থাকতে হচ্ছে না। তবু প্রথম ম্যাচ বাদ দিলে সকলের কথা বিবেচনা করলে আইপিএলের প্রথম দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম একাদশ হতে পারে এরকম: শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, অজিঙ্ক রাহানে, ঋষভ পন্থ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), মার্কাস স্টইনিস, শিমরন হেটমায়ার বা স্যাম বিলিংস, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাডা, অ্যানরিক নর্টজে ও উমেশ যাদব।
ব্যাটিংয়ে ভরসা
শ্রেয়স আইয়ার ছিটকে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ে বেশি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ ও অজিঙ্ক রাহানেকে। টি ২০ বিশ্বকাপে নিজের দাবি জোরালো করতে মুখিয়ে থাকবেন শিখর ধাওয়ান। গত বছর আইপিএলে ৬১৮ রান করার পাশাপাশি তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৪.৭৩। ১৩৯-এর পাওয়ারপ্লে স্ট্রাইক রেটেও তিনি ছিলেন প্রথম পাঁচে। বিজয় হাজারে ট্রফির পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিকেও বড় রান পেয়েছেন শিখর। ওপেনিংয়ে তাঁর সম্ভাব্য সঙ্গী পৃথ্বী শ ব্যাটিং পরামর্শদাতা প্রবীণ আমরের তত্ত্বাবধানে নিজেকে আইপিএলের জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে একের পর এক শতরান তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অনেকটাই। ঋষভ পন্থও বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন। তিনি ও স্টইনিস দলের রান দ্রুত বাড়াতে সক্ষম। ফিনিশারের ভূমিকায় লড়াই হেটমায়ার ও বিলিংসের মধ্যে। অধিনায়কের দায়িত্ব কেমন সামলাচ্ছেন, তার প্রভাব পারফরম্যান্সে পড়ছে কিনা সেই সব দিক দিয়ে নজর থাকবে ঋষভ পন্থের দিকে।
সমীহযোগ্য বোলিং শক্তি
ব্যক্তিগত কারণে গতবার আইপিএল খেলতে না পারলেও এবার দিল্লি ক্যাপিটালস পাচ্ছে ক্রিস ওকসকে। তবে প্রথম একাদশে জায়গা পেতে তাঁকে লড়াই করতে হবে। কারণ তাঁর বিকল্প হিসেবে গতবার খেলা নর্টজেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ডেথ ওভারে রাবাডাও বিপজ্জনক। ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবকে এবার নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই দুই পেসার খেলালে দলের ভারসাম্যও অনেকটাই বাড়বে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে স্বপ্নের ফর্মে থাকা অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণি এবারও প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে যথেষ্ট। গত বছরও ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করেছেন অক্ষর।
দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ
১০ এপ্রিল- চেন্নাই সুপার কিংস, ১৫ এপ্রিল- রাজস্থান রয়্যালস, ১৮ এপ্রিল- পঞ্জাব কিংস, ২০ এপ্রিল- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ২৫ এপ্রিল- সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, ২৭ এপ্রিল- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ২৯ এপ্রিল- কলকাতা নাইট রাইডার্স, ২ মে- পঞ্জাব কিংস, ৭ মে- সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, ৮ মে- কলকাতা নাইট রাইডার্স (বিকেল সাড়ে ৩টে), ১১ মে- রাজস্থান রয়্যালস, ১৪ মে- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ২১ মে- চেন্নাই সুপার কিংস, ২৩ মে- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (বিকেল সাড়ে ৩টে)