দিল্লিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ঝড় তুলে সিএসকে-র অম্বাতি হয়ে উঠলেন জাদেজা!
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এবারের আইপিএলে দ্বিতীয়বার রান তাড়া করবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করে রোহিত শর্মারা জিতেছিলেন ৭ উইকেটে। তবে আজ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাঁদের তাড়া করতে হবে ২১৯। নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংস চার উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২১৮ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ধোনিদের এটাই সর্বোচ্চ রান। আর তা সম্ভব হলো, অম্বাতি রায়ুডু চলতি আইপিএলে তৃতীয় দ্রুততম (এই ম্যাচেই পোলার্ড ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন পরে রান তাড়া করতে নেমে) ২০ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করায়। নিজের কুড়িতম আইপিএল অর্ধশতরান করে ২৭ বলে ৭২ রানে অম্বাতি অপরাজিত রইলেন। মেরেছেন চারটি চার ও সাতটি ছক্কা। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২২ করে। শেষ ৮ ওভারে অম্বাতি-জাড্ডু তোলেন ১০২ রান।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
টস জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফর্মে থাকা ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে আউট করেন ট্রেন্ট বোল্ট। চার বলে চার রান করেন ঋতুরাজ, একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
চার রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ফাফ দু প্লেসি ও মঈন আলি। পাওয়ারপ্লে-তে ৬ ওভারে সিএসকে-র স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৯। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। দু প্লেসি ও মঈন যোগ করেন ১০৮ রান। ১০.৫ ওভারে মঈন আলিকে আউট করেন জশপ্রীত বুমরাহ। পাঁচটি করে চার ও ছক্কা মেরে ৩৬ বলে ৫৮ রান করে কট বিহাইন্ড হন মঈন।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
এরপর দ্বাদশ ওভারে পরপর দুই বলে দু প্লেসি ও সুরেশ রায়নার উইকেট তুলে নেন কায়রন পোলার্ড। ২টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ করে আউট হন দু প্লেসি। টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি এল সিএসকে-র প্রোটিয়া ওপেনারের ব্যাট থেকে। নিজের ২০০তম আইপিএল ম্যাচে রায়না করেন চার বলে ২। ১১২ রানে মঈনের উইকেট হারানোর পর ১১৬ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিএসকে। এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার তুলে নেন অম্বাতি রায়ুডু ও রবীন্দ্র জাদেজা। ১৩.২ ওভারে পোলার্ডের বলে জাদেজাকে আম্পায়ার লেগ বিফোর দেন। তবে রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান তিনি। পরের বলেই ঝাঁপিয়ে পড়েও তাঁর ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন পোলার্ড। অম্বাতিই মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৬তম ওভারে ধবল কুলকার্নির বলে সিএসকে ১৭ তুলে দেড়শো রান টপকে যায়। ১৭তম ওভারে জশপ্রীত বুমরাহ-র ওভারে আসে ২১ রান। এদিন বুমরাহ আইপিএলে নিজের সবচেয়ে খারাপ বোলিং করলেন। ৪ ওভারে দিলেন ৫৬। পেলেন একটি উইকেট। ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পোলার্ড।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম একাদশ এদিন অপরিবর্তিত থাকলেও দুটি পরিবর্তন করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতের কথায় ট্য়াকটিক্যাল পরিবর্তন। নাথান কুল্টার-নাইল ও জয়ন্ত যাদবকে বাইরে রেখে খেলানো হয় ধবল কুলকার্নি ও জিমি নিশামকে। নিউজিল্যান্ডের নিশাম এদিনই প্রথম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জার্সিতে নামলেন।
চেন্নাই সুপার কিংস: ফাফ দু প্লেসি, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, মঈন আলি, সুরেশ রায়না, অম্বাতি রায়ুডু, রবীন্দ্র জাদেজা, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), স্যাম কারান, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার, লুঙ্গি এনগিডি
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, কায়রন পোলার্ড, হার্দিক পাণ্ডিয়া, জিমি নিশাম, ধবল কুলকার্নি, রাহুল চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট, জশপ্রীত বুমরাহ