বিধ্বংসী ওপেনিং জুটিতে সানরাইজার্সকে উড়িয়ে ফের শীর্ষে চেন্নাই সুপার কিংস
ওপেনিং জুটিতে ১২৯ রানই গড়েছিল জয়ের ভিত। ১৫তম ওভারে তাই পরপর দুই বলে রশিদ খান মঈন আলি ও ফাফ দু প্লেসিকে ফেরালেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেল চেন্নাই সুপার কিংস। চলতি আইপিএলে টানা পঞ্চম জয় ছিনিয়ে নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ফের দখল করল ধোনির দল। সর্বাধিক ৭৫ করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৬টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৫৬ রান করেন দু প্লেসি। আইপিএলে ৫০০টি চার মারার নজির গড়ে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সুরেশ রায়না। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংস সাত উইকেটে ম্যাচ জিতল ৯ বল বাকি থাকতেই। চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেটই নেন রশিদ খান। ৬ ম্যাচে ২৭০ রান করে এদিন কমলা টুপি পেলেন দু প্লেসি।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার ফাফ দু প্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। পাওয়ারপ্লে-তে যেখানে ৬ ওভারে সানরাইজার্সের রান ছিল ১ উইকেটে ৩৯, সেখানে সিএসকে তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ৫০ রান। ১০ ওভারে সানরাইজার্স যেখানে ছিল ১ উইকেটে ৬৯, সেখানে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৯১। এরপরেও রানের গতি বাড়াতে থাকেন চেন্নাই ওপেনাররা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চলতি আইপিএলে একশো বা তার বেশি ওপেনিং পার্টনারশিপ হলো সিএসকে-র। পঞ্চম আইপিএল অর্ধশতরান পূর্ণ করার পর ৪৪ বলে ৭৫ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার। আইপিএলে ১৯তম আইপিএল অর্ধশতরান এদিন পেলেন ফাফ দু প্লেসি। ১৩ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার সময় চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর ছিল ১২৯। দু প্লেসি ৫৬ ও মঈন আলি ১৫ রান করেন।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭১ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিরাট সিংয়ের জায়গায় মণীশ পাণ্ডে প্রথম একাদশে ফিরতেই অন্য চেহারায় দেখা গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টপ অর্ডারকে। এদিন জনি বেয়ারস্টো ব্যর্থ হলেও সানরাইজার্স লড়াইয়ের জায়গায় রইল ওয়ার্নার ও পাণ্ডের অর্ধশতরান এবং শেষে কেন উইলিয়ামসন ও কেদার যাদবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে। শূন্য রানে দীপক চাহারের বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেলেও পাঁচ বলে সাতের বেশি করতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। তাঁকে ইংল্যান্ড দলেরই সতীর্থ স্যাম কারান আউট করেন। এরপর দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায় ডেভিড ওয়ার্নার ও মণীশ পাণ্ডের পার্টনারশিপ। ১৮ ওভারে তাঁদের দুজনকেই ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। ততক্ষণে দুজনেই অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
মণীশ
পাণ্ডে
দলে
এসেই
নিজের
দেড়শোতম
আইপিএল
ম্যাচে
এদিন
ওয়ার্নারের
আগে
অর্ধশতরান
পূর্ণ
করেন।
এদিন
তিনটি
নজির
গড়লেন
ডেভিড
ওয়ার্নার।
আইপিএলে
অর্ধশতরানের
হাফ
সেঞ্চুরি
করেন
সানরাইজার্স
অধিনায়ক।
তার
আগে
ক্রিস
গেইল,
কারয়ন
পোলার্ড,
শোয়েব
মালিকের
পর
চতুর্থ
ব্যাটসম্যান
হিসেবে
টি
২০-তে
দশ
হাজার
রান
পূর্ণ
করেন
ওয়ার্নার।
আইপিএলে
২০০তম
ছক্কাও
তিনি
মারলেন
এদিনের
ম্যাচেই।
আইপিএলে
২০০তম
ছক্কা
মারলেন
অষ্টম
ব্যাটসম্যান
হিসেবে।
আইপিএলে
তাঁর
ছক্কার
সংখ্যা
২০১।
পাঁচটি
চার
ও
একটি
ছয়ের
সাহায্যে
৪৬
বলে
৬১
রান
করেন
মণীশ
পাণ্ডে।
তিনটি
চার
ও
দুটি
ছক্কার
সাহায্যে
৫৫
বলে
৫৭
রান
করেন
ডেভিড
ওয়ার্নার।
তাঁদের
জুটিতে
ওঠে
১০৬
রান।
অষ্টাদশ
ওভারে
এনগিডি
প্রথম
বলে
ফেরান
ওয়ার্নারকে,
পঞ্চম
বলে
আউট
হন
মণীশ।
তা
সত্ত্বেও
শেষ
তিন
ওভারে
৪৪
রান
সানরাইজার্স
তুলল
কেন
উইলিয়ামসন
ও
কেদার
যাদবের
ঝোড়ো
ব্যাটিংয়ে।
চারটি
চার
ও
একটি
ছক্কার
সাহায্যে
১০
বলে
২৬
করে
অপরাজিত
থাকেন
কেন
উইলিয়ামসন।
কেদার
যাদব
৪
বলে
১২
রান
করে
অপরাজিত
থাকেন
শেষ
বলে
ছক্কা
মেরে।
১৯তম
ওভারে
শার্দুল
ঠাকুর
২০
রান
দেন।
চার
ওভারে
৩৫
রান
দিয়ে
২
উইকেট
নেন
এনগিডি।
চার
ওভারে
৩০
রান
দিয়ে
একটি
উইকেট
নেন
কারান।