ধোনির অনুশীলনে নামার দিনই সিএসকে ফ্যানদের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ, কী বলছে রিপোর্ট
আইপিএল ২০২১-র আগে সিএসকে-র ব্র্যান্ড ভ্যালু কমল অনেকটাই, কী বলছে রিপোর্ট?
আইপিএল ২০২১-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিল চেন্নাই সুপার কিংস। টুর্নামেন্টের গত সংস্করণের প্লে-অফে পৌঁছতে পারেনি এমএস ধোনির দল। তাই এবারের আইপিএলে ভাল কিছু করতে মুখিয়ে রয়েছে সিএসকে। তাই অনেক আগে থেকেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তিন বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।তার আগে সিএসকে ফ্যানদের জন্য দুঃসংবাদ শোনাল এক রিপোর্ট। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কমেছে ব্র্যান্ড ভ্যালু
২০১৯ সালের আইপিএলের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেবার এমএস ধোনির দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৭৩২ কোটি টাকা। ২০২০ সালে প্লে-অফেও উঠতে না পারা সিএসকে-র ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৬.৫ শতাংশ কমেছে বলে ডাফ অ্যান্ড ফেলপসের এ সংক্রান্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ধোনিদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে ৬১১ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে।
কমেছে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু
করোনা ভাইরাসের আবহে ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইপিএল। টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসরের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিল ভিভো। ফলে আইপিএল নিয়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল বিসিসিআই। সম্ভবত একই কারণ ২০২০ সালের টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড ভ্যালুও কমেছে বলে ডাফ অ্যান্ড ফেলপসের এ সংক্রান্ত রিপোর্টে। যেখানে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৪৭,৫০০ কোটি টাকা। এক বছর পর তা নেমে ৪৫,৮০০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায়।
পিছিয়ে কেকেআর ও পাঞ্জাব
সিএসকে-র পাশাপাশি ব্র্যান্ড ভ্যালু কমেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংসের (তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব)। ২০১৯ সা্লে কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৬২৯ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ১৩.৭ শতাংশ কমে ৫৪৩ কোটি টাকাতে এসে থেমেছে বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে পাঞ্জাব কিংসের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১১.৩ শতাংশ কমেছে বলে জানানো হয়েছ। তা ৩৫৮ থেকে ৩১৮ কোটি টাকায় নেমেছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
এগিয়ে মুম্বই ও দিল্লি
২০১৯ এবং ২০২০ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাই তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে পতন ঘটেছে সবচেয়ে কম। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে রোহিত শর্মার দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৮০৯ কোটি টাকা। ৫.৯ শতাংশ কমে ২০২০ সালে তা ৭৬১ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে। মাত্র ১ শতাংশ ব্র্যান্ড ভ্যালু কমেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৩৭৪ কোটি থেকে ৩৭০ কোটি টাকায় এসে থেমেছে দলের মূল্য।