আইপিএল আয়োজনের দাবি, সৌরভের বোর্ডের পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ আজহারের
আইপিএল আয়োজন নিয়ে এবার বড়সড় সমস্যায় পড়তে চলেছে বিসিসিআই। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত থেকে বোর্ড পিছু হঠতেই সরব হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। বোর্ড ছটি শহরে আইপিএল আয়োজন করতে পারে এই খবর জানতে পেরে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে বোর্ডের জবাব তলব করেছে পঞ্জাব কিংস। একই পথে হাঁটতে চলেছে রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
দ্বিধায় বিসিসিআই
সরকারিভাবে বিসিসিআই এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি। প্রাথমিকভাবে বিসিসিআই ঠিক করেছিল মুম্বই ও আমেদাবাদেই গোটা আইপিএল আয়োজন করা হবে। যেহেতু ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন, ডি ওয়াই পাতিল ও রিলায়েন্স স্টেডিয়াম মুম্বইয়ে আছে ফলে সেখানে আইপিএলের গ্রুপ পর্যায়ের খেলাগুলি আয়োজন করে বাকি খেলাগুলি আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু চিন্তা বাড়ায় মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রে ফের করোনা সংক্রমণ হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজ পুনে থেকে সরানোর জল্পনাও জোরালো হয়। তবে শেষ পাওয়া খবর, মহারাষ্ট্র সরকারের অনুমতি নিয়ে সেখানে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে ওই একদিনের সিরিজ। তবে আইপিএলের সব ম্যাচ সেখানে আয়োজন করা যে সম্ভব নয় সেটাও বুঝতে পারছে বিসিসিআই।
৬ শহর নিয়ে পরিকল্পনা
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিসিসিআই দেশের ছটি শহরে আইপিএল আয়োজন করতে চাইছে। এই ৬টি শহর হলো মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি ও আমেদাবাদ। হায়দরাবাদের কথাও ভাবা হয়েছিল। তবে সেখানে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় কোন্দল আইপিএল আয়োজনের পথে বাধা হতে পারে বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, কলকাতা, চেন্নাই, আমেদাবাদ ও দিল্লিকে আসন্ন আইপিএল আয়োজনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। বোর্ডসূত্রে খবর, কোনও স্টেডিয়ামে খেলা হবে দর্শকশূন্য অবস্থায়। পরিস্থিতি ভালো থাকলে কোথাও আবার ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে ঢোকার অনুমতি পাবেন। আবার সব জায়গায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে গতবারের মতোই খেলা হতে পারে। মহারাষ্ট্র সরকার যেমন জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ওয়াংখেড়েতেই দর্শকশূন্য অবস্থায় আইপিএল আয়োজন করা যাবে। আর কোথাও নয়। হায়দরাবাদে আইপিএল আয়োজন করা যাবে না বুঝে শেষে দিল্লির নাম যুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা
বায়ো বাবল তৈরি করে দুটি শহরে আইপিএলের মোট ৬০টি ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে বোর্ডের পরিকল্পনায় সায় ছিল সব ফ্র্যাঞ্চাইজির। সেইমতো প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু বোর্ডের নতুন পদক্ষেপ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দ্বিধাবিভক্ত। কেউ সমর্থন করলেও কেউ আবার ভালোভাবে নিচ্ছে না। পঞ্জাব কিংসের অন্যতম কর্ণধার নেস ওয়াদিয়া বোর্ডের জবাবদিহি তলব করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন মোহালি বা আমাদের প্রস্তাব দেওয়া জায়গায় পঞ্জাব কিংসের খেলা দেওয়া হচ্ছে না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছি বোর্ডের কাছে। কেন এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা যেমন জানতে চেয়েছি তেমন আইপিএলের স্থান ঠিক করার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছভাবে হওয়া উচিত বলেই দাবি জানিয়েছি।
রাজস্থান সরকারের দ্বারস্থ
বোর্ডের তালিকায় জয়পুরের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ রাজস্থান রয়্যালসের কর্তারা। তাঁরা এ ব্যাপারে রাজস্থান সরকার ও রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টন আকর্ষণ করেছে। জয়পুর আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করতে প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানে ম্যাচ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে বোর্ডের কাছে একযোগে চিঠি পাঠাবে রাজস্থান সরকার ও রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যাট ধরলেন আজহার
হায়দরাবাদ
ক্রিকেট
অ্যাসোয়িশেনর
সভাপতি
তথা
প্রাক্তন
ভারত
অধিনায়ক
মহম্মদ
আজহারউদ্দিনের
সঙ্গে
সংঘাত
চলছে
এইচসিএ-র।
সে
কারণেই
হায়দরাবাদ
থেকে
ম্যাচ
সরানোর
ভাবনা
রয়েছে
বিসিসিআইয়ের।
যদিও
হায়দরাবাদে
আইপিএল
ম্যাচ
আয়োজনের
দাবিতে
সরব
হয়েছেন
আজহার।
সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের
কর্তারা
প্রকাশ্যে
মুখ
না
খুললেও
তেলেঙ্গানা
রাষ্ট্রীয়
সমিতির
কার্যকরী
সভাপতি
ও
রাজ্যের
তথ্য-প্রযুক্তি
মন্ত্রী
কে
টি
রামা
রাও
টুইটে
লিখেছেন,
বোর্ডের
কাছে
আবেদন
করছি
হায়দরাবাদে
আইপিএল
ম্যাচ
দেওয়ার
জন্য।
তেলেঙ্গানা
সরকার
দারুণভাবে
করোনা
পরিস্থিতি
মোকাবিলা
করেছে,
দেশের
মেট্রো
শহরগুলির
মধ্যে
এখানে
আক্রান্ত
অনেক
কম।
আইপিএল
আয়োজনে
সবরকম
সহায়তা
করবে
রাজ্য
সরকার।
সেই
টুইট
রিটুইট
করে
মহম্মদ
আজহারউদ্দিন
টুইটে
লেখেন,
বায়ো
বাবল
তৈরি-সহ
বোর্ডের
নির্দেশিকা
মেনে
আইপিএল
আয়োজনে
সবরকমভাবে
প্রস্তুত
হায়দরাবাদ।
কে
টি
রামা
রাওয়ের
দাবিকে
পূর্ণ
সমর্থন
করছি।
এদিকে,
অনেকে
আবার
প্রকাশ্যে
মুখ
খোলার
আগে
সবাই
তাকিয়ে
বিসিসিআইয়ের
সিদ্ধান্তের
দিকে।
১১
এপ্রিল
আইপিএল
শুরু
করে
৬
জুনের
মধ্যে
তা
শেষ
করার
পরিকল্পনা
করা
হচ্ছে।
এর
মধ্যে
পশ্চিমবঙ্গে
বিধানসভা
নির্বাচন
রয়েছে।
সবমিলিয়ে
বিসিসিআই
ক্রীড়াসূচি
নিয়ে
কী
পদক্ষেপ
করে
সেদিকেই
তাকিয়ে
সকলে।