নিজেদের চিনা সংস্থা বলতে রাজি নয় ড্রিম ইলেভেন, আইপিএলের অপেক্ষা
নিজেদের চিনা সংস্থা বলতে রাজি নয় চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ড্রিম ইলেভেন। একই সঙ্গে আইপিএল শুরুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থা। করোনা ভাইরাসের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বাইশ গজের খেল মানুষের জীবনের হতাশা দূর করবে বলেও মনে করে ড্রিম ইলেভেন।

চিনা সংস্থা নয়
নিজেদের চিনা সংস্থা বলতে রাজি নন ড্রিম ইলেভেন। সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারতেই তাঁদের জন্ম এবং এখান থেকেই উত্থান। কে কী বলেছে সেদিকে কান না দিয়ে আপাতত তাঁরা আইপিএলের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত বলে জানিয়েছেন ড্রিম ইলেভেনের ওই কর্তা।

বিতর্ক কোথায়
ফ্যান্টাসি গেমিং প্ল্যাটফর্ম ড্রিম ইলেভেন কোনও চিনা সংস্থা নয়। বরং নিখাদ ভারতীয় সংস্থা। ৭৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ড্রিম ইলেভেন তৈরি হয়েছিল ২০১২ সালে। হরিশ জৈন এবং ভাবিত শেঠের হাত ধরে পথ চলতে শুরু করা এই সংস্থা ভারতের প্রথম অনলাই ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম। ভারতের একমাত্র গেমিং সংস্থা হিসেবে ইউনিকর্ন ক্লাবে প্রবেশ করেছে ড্রিম ইলেভেন। তবে স্টিডভিউ, কালারি ক্যাপিটাল, থিঙ্ক ইনভেস্টমেন্টস, মাল্টিপলস ইকুইটি এবং টেন্সেন্টের মতো চিনা ফার্ম ড্রিম ইলেভেনে বিনিয়োগ করে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থার ১০ শতাংশ স্টেক কিনে বসে থাকা শেনজেনও যে চিনা সংস্থা, তা আর জানতে কারও বাকি নেই। ড্রিম ইলেভেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শেয়ার চিনা টেকনোলজি জায়ান্ট টেকনেটের হাতে রয়েছে বলেও খবর। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনেছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএআইটি।

ড্রিম ইলেভেনের জয়
চিনা সংস্থা ভিভোর পরিবর্তে চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হওয়ার জন্য বিড করেছিল বেশকিছু সংস্থা। ২২২ কোটি টাকা বিড করে বাকিদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে ড্রিম ইলেভেন। অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থাকে আইপিএল ২০২০-এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে বেছে নেয় বিসিসিআই।

ভিভোর সঙ্গে চুক্তি
আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের জন্য ২০১৭ সালে পাঁচ বছরের হিসেবে ভিভোর সঙ্গে ২১৯৯ কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে বিসিসিআইয়ের। অর্থাৎ প্রতি বছর আইপিএল বাবদ বিসিসিআই-কে প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা চিনা সংস্থার। সেক্ষেত্রে ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী চুক্তিতে প্রায় ২১৮ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের।