আইপিএল ২০২০: টুর্নামেন্টে এই ৩ রেকর্ড ভাঙা যেন মিশন ইম্পসিবল
আইপিএল ২০২০: টুর্নামেন্টে এই ৩ রেকর্ড ভাঙা যেন মিশন ইম্পসিবল
নতুন মরসুম, নতুন রেকর্ড। এটাই আইপিএলের মাহাত্ম্য। আইপিএলে প্রতি বছরই পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। তবে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের এই তিন রেকর্ড ভাঙা যেন 'মিশন ইম্পসিবল'! ১৩ তম আইপিএল শুরুর আগে কী সেই তিন রেকর্ড একনজরে দেখে নিন।
কেজরির দাবি
নোট বাতিল প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এবার তিনি জানালেন, তিনি মোদীর নামের মন্ত্র জপ করবেন যদি দেশ থেকে কালো টাকা উৎখাত করা যায় তাহলেই।
গেইলের ব্যাটি তাণ্ডব
আইপিএলের ১২ মরসুম ধরলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। ইউনিভার্স বস ২০১৩ সালে চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে, পুনে ওয়ারিয়ার্সের বিরুদ্ধে ৬৬ বলে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন। ১০২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৩টি চার ও ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মারকুটে ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৫.১৫। গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবের কারণে পুনের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তুলেছিল।
আশরফের পাক সমালোচনা
ভারতে এশিয়া হার্ট অব কনফারেন্সে এসে আফগানিস্তান রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সমর্থন না পেলে তালিবানরা একটি মাসও নিজেদের সংগঠন ধরে রাখতে পারবে না। পাকিস্তান থেকে সবরকম সাহায্য পায় বলেই তারা টিঁকে রয়েছে।
রেকর্ড ১
আইপিএলের ইতিহাসে এটাই এক ইনিংসে কোনও ব্যাটসম্যানের হাঁকানো সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১৩ সালে তৈরি হওয়া এই রেকর্ড ৬ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে। ২০২০ সালেও এই রেকর্ড ভাঙ্গা যেন মিশন ইম্পসিবল। ক্রিকেট দুনিয়ার মতে একমাত্র গেইল নিজেই তার এই রেকর্ড ভাঙতে পারেন।
আশঙ্কাজনক জয়া
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি এআইএডিএমকে নেত্রী জে জয়ললিতা। তাকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে সমর্থক ও ভক্তদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।
রেকর্ড ২
আইপিএলে ধোনির শতকরা জয়ের শতাংশ ৬০.১১। অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ১৭৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১০৪ ম্যাচে জয়ী হয়েছেন। হেরেছেন ৬৯ ম্যাচ। আইপিএলে ইতিহাসে ধোনিই সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
শতকরা জয়ের সাফল্য ধরলে এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে হিটম্যান ১০৪ ম্যাচের মধ্যে ৬০টি ম্যাচে জয় ও ৪২টি ম্যাচ হেরেছেন। ২টি ম্যাচ টাই হয়।
শতকরা জয়ের শতাংশ ৫৮.৬৫। ধোনির শতকরা আইপিএল জয়ের হার রোহিত ২০২০-র আইপিএলে ছুঁতে পারেন কিনা দেখার! তবে ক্রিকেটেমহলের মতে এই রেকর্ড রোহিতের পক্ষে ছোঁয়া কঠিন।
মনমোহনের সমালোচনায় রাও
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জমানা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। তাঁর নোট বাতিলের মতো ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করার কোনও অধিকার নেই। এমনটাই বক্তব্য বিজেপি সর্বভারতীয় সম্পাদক মুরলীধর রাওয়ের।
রেকর্ড ৩
গত বছর আরসিবি'র হয়ে প্রয়াস রায় বর্মন ১৬ বছর ১৫৭ বয়সে আইপিএলে অভিষেক করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তিনিই সর্বকণিষ্ট ক্রিকেটার। এবছর তার চেয়ে কম বয়সী কোনও ক্রিকেটারের অভিষেক হচ্ছে না। ফলে এই রেকর্ড অক্ষত থাকছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর খুলল সাউথ সিটি মল
পুলিশের অনুমতি পেয়ে খুল সাউথ সিটি মল। গতকালই সাউথ সিটি মলের ফুডপার্কে আগুন লেগে একাংশের ক্ষতি হয়। আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জেরে খুব সহজেই এই আগুন মোকাবিলা করতে সমর্থ হয় দমকলবাহিনী। সেই কারণেই অগ্নিকাণ্ডের একদিনের মধ্যে খুলে দেওয়া সম্ভব হল মল। ক্রমেই দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত শপিংমল স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমবার সাড়ে ১২টার পর খুলে দেওয়া মলটি। তবে ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি বন্ধ আছে। ওই অংশ পূর্বাবস্থায় ফেরানোর কাজ চলছে।
মানস ভুঁইয়া বক্তার তালিকায়, বিরোধীদের ওয়াকআউট
মানস ভুঁইয়ার নাম বক্তার তালিকায় থাকায় প্রশ্ন তুলে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিরোধীরা। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বিধায়করা সম্মিলিতভাবে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভা ত্যাগ করে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। নোট আন্দোলনে ঐক্যের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের এক হয়ে প্রতিবাদে সামিল হতে বলেন। উল্লেখ, মানস ভুঁইয়া কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু তিনি বিধানসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেননি। তার বিরুদ্ধেই বিরোধীদের এই সম্মিলিত প্রতিবাদ।
কলকাতার রাস্তায় সিগন্যাল ভেঙে পরপর ধাক্কা, মৃত ৩, জখম ৭
সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গাড়ির পর পর ধাক্কায় মৃত তিনজন। জখম অন্তত সাতজন। আলিপুরে বেলভেডিয়ার রোডের সংযোগস্থলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে সিগন্যাল ভেঙে বাইকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর পর পর ধাক্কা মেরে ফুটপাতে উঠে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তিনজন বাইক আরোহী রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকাই একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা মারে তিন বাইক আরোহী ও সাতজন পথচারীকে। রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জখম হয়েছেন বেপরোয়া গাড়ির চালকও। তিনি আদৌ স্বাভাবিক ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে।