আইপিএল ২০২০ : বোলিং বিভাগের যে ক্রটি সামনেও ভোগাতে পারে কেকেআর-কে
আইপিএল ২০২০ : বোলিং বিভাগের যে ক্রটি সামনেও ভোগাতে পারে কেকেআর-কে
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুর্ধর্ষ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১৬৭ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের পিছনে বিরাট অবদান রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বোলারদের। বিশেষ করে ডেথ ওভারে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে যে বাধা পড়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, কেদার যাদবরা, তা জানেন ক্রিকেট প্রেমীরা। তবু কেকেআরের বোলিং বিভাগের যে স্থানে কিছু ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে, সেদিকে নজর ফেরানো যাক।
পাওয়ার প্লে-তে প্রচুর রান
গত দুই ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাওয়ার প্লে-তে প্রতিপক্ষ শিবিরকে প্রচুর রান দিচ্ছেন কেকেআরের বোলাররা। শারজায় দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে শুরু। আবুধাবিতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও পাওয়ার প্লে-র প্রথম ছয় ওভারে প্রায় ৬০ রান দিয়েছেন দীনেশ কার্তিকের বোলাররা।
ধারাবাহিকতার অভাব
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন কেকেআরের তরুণ শিবম মাভি এবং কমলেশ নাগারকোটি। দুটি করে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি খুব কম রান দিয়েছিলেন। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকেই সমীকরণ পাল্টাতে শুরু করে। ওই ম্যাচে প্রতি ওভারে ১০-এর বেশি রান দিয়েছেন কেকেআর বোলাররা। সিএসকে-র বিরুদ্ধেও এক উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিন ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন মাভি। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন নাগারকোটি।
কুলদীপ যাদবের অনুপস্থিতি
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রচুর রান দিলেও সিএসকে-র বিরুদ্ধে দারুণ ভাবে ফিরে এসেছেন কেকেআর স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ওভারে ২৮ রান দেওয়ার পাশাপাশি এমএস ধোনির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবু এই দলে অভিজ্ঞ কুলদীপ যাদবের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
নারিনের ছন্দে ফেরা জরুরি
চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে ৩ উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারিন। সিএসকে-র বিরুদ্ধে শেন ওয়াটসনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়া ক্যারিবিয়ান স্পিনার ৪ ওভারে ৩১ রানও দিয়েছেন। প্রথম দুই ওভারে তাঁকে বেধড়ক প্রহারের সম্মুখীন হতে হয়। আইপিএল ২০২০-তে কেকেআর-কে ভাল কিছু করতে হলে নারিনকে সেই পুরনো ছন্দে ফিরতেই হবে।
আইপিএল ২০২০ : জিতলেও ব্যাটিং বিভাগের যে যে গর্ত ভরাট করতেই হবে কেকেআর-কে