আইপিএল ২০২০তে নাইটদের শেষ ৬ সুযোগ, কেকেআরের আদর্শ একাদশ কী হওয়া উচিত
আইপিএল ২০২০তে নাইটদের শেষ ৬ সুযোগ, কেকেআরের আদর্শ একাদশ কী হওয়া উচিত
আইপিএল ২০২০তে শুক্রবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হারের পর কেকেআর সামনে আর শেষ ৬ সুযোগ। এই ৬ ম্যাচে দারুণ কিছু করে দেখাতে না পারলে ফের হতশ্রী পারফর্ম্যান্সেই আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হবে কলকাতাকে। একনজরে কেকেআরের শেষ ৬ ম্যাচে আদর্শ একাদশ কী হওয়া উচিত দেখে নেওয়া যাক।
ওপেনিংয়ে ব্যান্টন
ওপেনিংয়ে গিলের সঙ্গে ব্যাটিং করুন ব্যান্টন। আইপিএল ২০২০তে আরসিবি ম্যাচে অভিষেকে দ্রুত আউট হলেও তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত। নাইটদের জার্সিতে এখনও ১টি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন ব্যান্টন। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেটে তাঁর অতীতের রেকর্ড বলছে কয়েকটি সুযোগ পেলে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন ব্যান্টন। টি-২০ ক্রিকেটে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যান্টনের সুনাম রয়েছে। সব ধরনের টি-২০ প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টম ব্যান্টন ৪০ ম্যাচে ৩৯ ইনিংস খেলেছেন। সব মিলিয়ে ব্যান্টনের ঝুলিতে ১০৯৩ রান রয়েছে। টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১০০ রান। ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি টি-২০তে ব্যান্টনের ৮টি অর্ধশতরান রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ৬টি ওডিআই ও ৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। দুই ফর্ম্যাটে ১টি করে অর্ধশতরান রয়েছে।করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের জার্সিতে টম ব্যান্টনের দুটি মারকাটারি ইনিংস রয়েছে। করোনার পর বাইশ গজে বল গড়ানোর দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যান্টন ৪২ বলে ৭১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেছেন। যেখানে ব্যান্টন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। পরে ঐ সিরিজেরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩১ বলে ৪৬ রানের দামি ইনিংস খেলেছেন। ফলে শেষ ৬ ম্যাচ জিততে পাওয়ার প্লেতে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে গেলে ব্যান্টনের মতো ধুঁয়াধার ব্যাটসম্যান প্রয়োজন।
ব্যান্টনের সঙ্গী গিল
ওপেনিংয়ে রান করলেও গিলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। গিল নিয়মিত রান করলেও পাওয়ার প্লেতে অন্য দলের ওপেনারদের মতো মারকাটারি ব্যাটিং করতে ব্যর্থ। যেকারণে দিল্লি মুম্বই বা আরসিবি পাওয়ার প্লেতে শক্তিশালী শুরু করলেও কেকেআর অনেকেটাই পিছিয়ে পড়ছে।
তিনে আদর্শ ব্যাটসম্যান কে
নাইট রাইডার্সের সামনে এখন মাত্র ৬ ম্যাচ পরে। এবার দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করে মাঠে পারফর্ম্যান্স করার সময়। চলতি মরসুমে ১টি ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি বাদ দিলে নীতীশ রানার ব্যাটে বড় রান নেই। তার জায়গায় তিনে রাহুল ত্রিপাঠীতে কেন খেলানো হবে না। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ের নেমে তাঁর ৮১ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতেছিল কেকেআর। এবার তিন নম্বরে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে নামিয়ে দিতে পারেন মর্গ্যান।
চারে কে
অধিনায়ক হওয়ার পর দীনেশের মতো মর্গ্যানকেও একই ভুল করতে দেখা গেল। মুম্বই ম্যাচ দীনেশের বদলে মর্গ্যান কেন ৪ নম্বরে এলেন না, সেই প্রশ্ন উঠছে। আদর্শ একাদশ তৈরির ক্ষেত্রে মর্গ্যান বরং চার নম্বরে আসুন।
পাঁচে কে
পাঁচে আদর্শ ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল। আইপিএল ২০২০তে ৮ ম্যাচে সুপার ফ্লপ রাসেল। গত মরসুমে ৫১০ রান হাঁকানো দ্রে রাসের ব্যাটে এবছর রান নেই। তিনি কবে ছন্দে ফিরবেন জানা নেই। এরপরও তাঁকে বাদ দিয়েও খেলা অসম্ভব। তাঁর প্রকৃত ব্যাটিং অর্ডার পাঁচ হওয়া উচিত।
ছয় নম্বরে কে
দলে দীনেশ কার্তিকের প্রকৃত ব্যাটিং অর্ডার ছয় হওয়া উচিত। যেহেতু দীনেশ রানের মধ্য়ে নেই। সেই কারণেই তাঁকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে চাপমুক্ত করতে পারেন মর্গ্যান। এই দলে দীনেশ ফিনিশারের ভূমিকায় বেশি কার্যকরী হবেন।
কুলদীপকে ফিরিয়ে আনা মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে
যেহেতু নারিনকে ব্যবহার করায় ঝুঁকি রয়েছে, সেই কারণে দলের কম্বিনেশন নিয়ে মর্গ্যান-ম্যাককুলামদের ভাবতে হচ্ছে। আইপিএলের দ্বিতীয়ভাগে মরুশহরের উইকেটে স্পিনাররা বেশি সুবিধে পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্লো -উইকেটে রানও কমেছে। এই অবস্থায় বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে স্পিনবিভাগে কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা মর্গ্যানের মাস্টারস্টোক হতে পারে।
নিয়মিত উইকেটহীন কামিন্সের কাছে অগ্নিপরীক্ষা
সেই সঙ্গে বোলিংয়ে কামিন্সকে এবার সতর্ক করার সময় এসেছে। ৮ ম্যাচ খেলে তাঁর ঝুলিতে মাত্র ২টি উইকেট। ক্যাপ্টেন মর্গ্যান তাঁর থেকে সেরাটা কীভাবে বার করে আনবেন সেটা অজি ক্রিকেটারের সঙ্গে বসে আলোচনার প্রয়োজন। তবে কামিন্স থাকলে অন্যদিকে নাইটদের ব্যাটিংয়েও গভীরতা বাড়বে।
বোলিং শক্তি কেমন হওয়া উচিত
সেক্ষেত্রে কামিন্স, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও মাভির সঙ্গে কুলদীপ ও বরুণ চক্রবর্তী খেললে বোলিংয়ে প্রচুর বৈচিত্র্য থাকবে। সঙ্গে ডেথ ওভারের জন্যে আন্দ্রে রাসেলতো রয়েছেনই।