মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বিপর্যয়, আইপিএলে লজ্জাজনক অধ্যায় রচনা ধোনির সিএসকে-র!
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বিপর্যয়, আইপিএলে কোন লজ্জাজনক অধ্যায় রচনা ধোনির সিএসকে-র!
বিপর্যয়ের পর বিপর্যয়। একে অস্তিত্ব সংকট, তার ওপর আইপিএলের ইতিহাসে অতি লজ্জাজনক অধ্যায় রচনা করে শাখের করাতের মুখে পড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। কিংবদন্তি এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন যে দল ২০১৯ পর্যম্ত (২০১৬, ২০১৭-তে খেলেনি) আইপিএলের সবকটি সংস্করণের নক আউট পর্বে খেলে ইতিহাস রচনা করেছে, সেই তারাই টুর্নামেন্টের এবারের সংস্করণে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে ৫ উইকেট হারিয়ে লজ্জায় মুখ ঢাকল।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২০-এর অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে হেরে যান সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। এরপর শারজার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগুন ঝরান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা। ম্যাচের প্রথম ওভারেই কোনও রান না করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন ঋতুরাজ গায়েকোয়াড়। আম্বাতি রায়ডু (২) ও নায়ারণ জগদীশনকে (০) একই ওভারে ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ। ব্যক্তিগত ১ রানের স্কোরে বোল্টের বলে আউট হন ইন-ফর্ম ফ্যাফ ডু প্লেসিসও। সাত রান করে বোল্টের বলেই আউট হন অল রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও।
পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে মহেন্দ্র সিং ধোনি শিবির। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ছয় ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সিএসকে। আইপিএলের ইতিহাসে যা এক লজ্জাজনক রেকর্ড। এর আগে টুর্নামেন্টের অন্যান্য সংস্করণে পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এমএস ধোনির দল। তবে পাওয়ার প্লে-তে এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স এই প্রথম।
২০১১ সালের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান তুলেছিল সিএসকে। ২০১৯ সালের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথম ছয় ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তুলেছিল হলুদ শিবির। ২০১৩ সালে মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই পাওয়া প্লে-তে ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল সিএসকে।