আইপিএল ২০১৯, জোর ভাগ্যের টক্কর! আরসিবির ভরসা বেঙ্গালুরু, কলকাতার হ্যারি গার্নি - জিতবে কে
আইপিএল ২০১৯ হয়ে উঠতে পারে বেঙ্গালুরু শহর, আর কেকেআর বোলার হ্যারি গার্নির ভাগ্যের লড়াই।
ক্রিকেটকে বলা হয় মহা অনিশ্চয়তার খেলা। আর টি২০, অর্থাত ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্র সংস্করণ তো এক বলেই অনেক কিছু এদিক ওদিক হয়ে যায়। কাজেই আইপিএল জিতবে কে, এই পূরবাভাস করাটা মুর্খামি। তবে, একই সঙ্গে ক্রিকেট ভাগ্যের খেলাও বটে। ভাগ্য়ের ট্রেন্ড ধরলে কিন্তু এই বার এখনই বলে দেওয়া যায় জয়ী হবে আরসিবি অথবা কেকেআর।
মনে করা হচ্ছে দ্বাদশ আইপিএল-এ দেখা যেতে পারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর বোলার হ্য়ারি গার্নির।
সাত কোটির যুবরাজ
শুধুমাত্র 'সদর ফেস্টিভ্যাল' উপলক্ষ্যে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে আনা হয়েছে এই সাত কোটি টাকা দামের মোষটিকে।
বেঙ্গালুরু বনাম গার্নি
২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু শহরের সব ক্লাবদলই পর পর ভারতের বিভিন্ন ক্রাড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে দ্বাদশ বছরে এসে আরসিবি-রও ভাগ্যের চাকা সঠিক রাস্তায় গড়াবে। অন্যদিকে কেকেআর-এর বোলার হ্য়ারি গার্নিও এই বছর এখন পর্যন্ত যেই দলে খেলেছেন, তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
উৎসবে শামিল যুবরাজ
মোষটির নাম 'যুবরাজ'। মালিকের নাম করমবীর সিং।
বেঙ্গালুরুর ভাগ্যের দৌড়
বেঙ্গালুরু শহরের এই ভাগ্যের দৌড় শুরু হয়েছিল প্রো-কাবাডি লিগে বেঙ্গালুরু বুলস-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়া দিয়ে। তারপর প্রো-ব্য়াডমিন্টন লিগ জিতেছে বেঙ্গালুরু র্যাপ্টর্স। আর অতি সম্প্রতি আইএসএল ট্রফি জিতেছে বেঙ্গালুরু এফসি।
বিস্তর খরচ
হরিয়ানা থেকে হায়দ্রাবাদে যুবরাজকে আনতে খরচ হয়েছে মোট ৫ লক্ষ টাকা। কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে যুবরাজ এসেছে। তার দেখভালের জন্য আনতে হয়েছে মোট ১৫ জন লোককে।
হ্যারি গার্নির উত্তুঙ্গ নিয়তি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশ ছেড়েছেন ৩২ বছরের ইংরেজ বোলার হ্যারি গার্নি। তারপর টি১০ লিগ জিতেছেন নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স-এর হয়ে। তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ চ্য়াম্পিয়ন হয়েছেন মেলবোর্ন রেরেগাদস-এর হয়ে। আর সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লিগেও তিনি ছিলেন চ্যাম্পিয়ন দল কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলেই।
যুবরাজের খোরাক
সাড়ে ৬ ফুট লম্বা মোষটির মোট ওজন ১৬০০ কেজি। প্রতিদিন ১০০টি আপেল, ২৫ লিটার দুধ ও ৫ কেজি করে তিন ধরনের শস্য খায় যুবরাজ।
স্বাস্থ্য সচেতন যুবরাজ
শরীর ফিট রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে দৌড়য় যুবরাজ। পাশাপাশি দিনে দু'বার করে তেল মাখানো হয় তাঁকে। এবং গায়ের পশম সপ্তাহে সপ্তাহে তোলা হয়। প্রতিদিন যুবরাজের খেয়াল রাখে ১০ জন লোক।