রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে লিগ টেবলে শীর্ষে হায়দরাবাদ
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বইকে শেষ বলে চার মেরে ১ উইকেটে হারিয়ে দিল হায়দরাবাদ। একইসঙ্গে ঘরের মাঠে জিতে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল।

কম রানের ম্যাচে বারবার পেন্ডুলামের মতো জয়ের কাঁটা একবার হায়দরাবাদের দিকে তো আর একবার মুম্বইয়ের দিকে হেলে যাচ্ছিল। তবে শেষ হাসি হাসল হায়দরাবাদই। শক্তিশালী মুম্বইয়ের বাধা পেরিয়ে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল। ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে কষ্টার্জিত জয় পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
কম রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ওপেনিংয়ে ভালো শুরু করে। প্রথম উইকেটে ৬২ রান তোলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শিখর ধাওয়ান। সাহা ২০ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেও ধাওয়ান অনবদ্য ৪৫ রান করেন মাত্র ২৮ বলে।
ধাওয়ানের আক্রমণে রান রেট অনেকটাই কমে আসে হায়দরাবাদের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামস ৬ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলে পরপর কয়েকটি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ।
অপ্রয়োজনীয় শট মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন মনীশ পান্ডে (১১ রান)। শাকিব আল হাসান-ও ১২ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপরে ষষ্ঠ উইকেটে দীপক হুডা ও ইউসুফ পাঠান ম্যাচ ধরে নেন। যদিও পাঠান বেশিক্ষণ টেঁকেননি। ১৪ বলে ১৪ করে পাঠান আউট হলে পরপর উইকেট পড়তে থাকে।
রশিদ খান ০ রানে ফেরেন। এরপরে সিদ্ধার্থ কউল-ও ০ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সন্দীপ শর্মাও মুস্তাফিজুরের বলে ০ রান আউট হন। শেষ ১২ বলে ১২ রা রান করতে হতো। মুস্তাফিজুর ১৯তম ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে নেন।
শেষ ওভারে ১১ রান বাকী ছিল। হায়দরাবাদের হাতে ছিল ১ উইকেট। বেব কাটিংয়ের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান হুডা। ৫ বলে ৫ রান বাকী ছিল। হুডা দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ বের করে আনেন। শেষ বলে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ।
এদিন মুম্বইয়ের হয়ে এল লিউয়িস ২৯ রান, সূর্যকুমার যাদব ২৮ রান ও কায়রন পোলার্ড ২৮ রান করেন। রোহিত শর্মা, ইশান কিষণ, ক্রুণাল পান্ডিয়া, বেন কাটিং কেউই রান পাননি। সূর্যকুমার, পোলার্ডরা রান করলেও সমসংখ্যক বল খেলেন।
বল হাতে নবাগত মারকাণ্ডে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন। চেন্নাই ম্যাচেও তিনি ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে বোর্ডে কম রান থাকাতেই শেষপর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিল হায়দরাবাদ।