IPL 10 : কোহলির অর্ধশতক, তবুও ব্যাটিংয়ের ভরাডুবিতে পুনের কাছে ৬১ রানে হারল ব্যাঙ্গালোর
রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের কাছে হেরে প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভবনা আরও মজবুত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ৪৯ রানের পর এদিন ব্যাঙ্গোলের দলগত মোট রান
পুনে, ২৯ এপ্রিল : ৪৯ রানেরে পর ৯৬ রানে ৯ উইকেট।রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের কাছে হেরে প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভবনা কার্যত পাকা করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পুনের কাছে ৬১ রানে হার ব্যাঙ্গালোরের। আরসিবির হারের মূলে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। একমাত্র অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যানউ ক্রিজে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি।
ফের একবার হতাশ করল বিরাট বাহিনী। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলি। প্রথম থেকেই পুনেকে সামলাতে এদিন হিমশিম খেতে হচ্ছিল ব্যাঙ্গালোরের বোলারদের। আর পুনের বোলারদের সামনে একা কোহলি ছাড়া কেউ টিকতেও পারেননি ২-৪ বলের বেশি। নীট ফল ফের এক লজ্জাজনক হার।
পুনের হয়ে একমাত্র অজিঙ্ক রাহানে বাদে প্রত্যেকেই রান পেয়েছেন এদিন। রাহুল ত্রিপাঠী ২৮ বলে ৩৭ রান করেন। মনোজ তিওয়ারি ৩৫ বলে ৪৪* রান করেন, তবে এদিন পুনের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন পুনে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ৩২ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। এদিন ধোনিও ১৭ বলে ২১* রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
তবে পুনের উইকেট বেশি না পড়লেও এদিন টাইট বোলিংয়ে ১৫৭ রানে পুনেকে আটতে রাখতে সমর্থ হয় ব্য়াঙ্গালোর বোলাররা। স্যামুয়েল বদ্রী, পবন নেগী, স্টুয়ার্ট বিনি একটি করে উইকেট পান।
এরপরে ব্যাট করতে নেমে ভের ভরাডুবির মুখে পড়ে টিম ব্যাঙ্গালোর। ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে, ৬১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ে যায়। ট্রাভিস হেড, এবি ডিভিলিয়ার্স, কেদার যাদব কেউই ২ অঙ্কের রান করতে পারেননি। তবে স্বস্তির বিষয় বিরাট কোহলি এদিন একদিকটা ধরে রেখেছিলেন। ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। তবে ব্যাটে বলে সংযোগ খুব কষ্টে হচ্ছিল।
এদিন অফ ফর্মে থাকা ক্রিস গেইলের জায়গায় শচীন বেবিকে দলে আনে ব্যাঙ্গালোর। তবে শচীনও এদিন কিছুই করে উঠতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে।