IPL 10 : পুনেকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে কলকাতার সুবিধা করে দিল দিল্লি
রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসকে ৭ রানে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই আরও আকর্ষণীয় করে তুলল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এদিন পুনে হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের কিছুটা সুবিধাও হল।
রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসকে ৭ রানে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই আরও আকর্ষণীয় করে তুলল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এদিন পুনে হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের কিছুটা সুবিধাও হল। মুম্বই ম্যাচে জিতলে লিগ তালিকার দ্বিতীয় হিসাবে প্লে অফে চলে যেতে পারবে কেকেআর। এদিন টসে জিতে দিল্লি ১৬৮/৮ করে। তবে জবাবে মনোজ তিওয়ারির ৪৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ৭ রানে ম্যাচ হারল পুনে।
এদিন টসে জিতে ঘরের মাঠে ফিরোজ শা কোটলায় প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক জাহির খান। তবে শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই সঞ্জু স্যামসনের (২ রান) উইকেট খোয়ায় দিল্লি। এরপরে শ্রেয়স আইয়ারও মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
তবে চার নম্বরে নামা ঋষভ পান্থকে সঙ্গে নিয়ে অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন করুণ নায়ার। ঋষভ ২২ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেও করুণ ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন। শেষদিকে মার্লন স্যামুয়েলস ২১ বলে ২৭ রান করলেও কোরি অ্যান্ডারসন (৩), প্যাট কামিন্স (১১), অমিত মিশ্ররা (১৩) রান পাননি। ফলে শে্ষের দিকে দুই ওভারে রান বেশি বাড়াতে না পেরে দিল্লি ৮ উইকেটে ১৬৮ রানে থামে।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে। এরপরে রাহুল ত্রিপাঠীও মাত্র ৭ রান করে ফেরেন। দুটি উইকেটই নেন জাহির খান। তবে তৃতীয় উইকেটে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন স্টিভ স্মিথ ও মনোজ তিওয়ারি।
তবে স্মিথ বেশিক্ষণ টেঁকেননি। ৩৮ রান করে ফেরেন। এরপরে বেন স্টোকসকে নিয়ে ইনিংস টানতে থাকেন। ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পরে মহম্মদ শামির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টোকস। করেন ২৫ বলে ৩৩ রান।
এরপরে নামা মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও অনবদ্য থ্রোয়ে রান আউট করেন মহম্মদ শামি। আর শেষদিকে ফিনিশার ধোনিকে রান আউট করাটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় দিল্লির পক্ষে। শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান করতে হতো পুনেকে।
১৯ তম ওভারে বল করতে এসে ফের ধাক্কা দেন শামি। এলবিডব্লিউ আউট করেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে (৩ রান)। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুনে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। প্যাট কামিন্সের প্রথম ২ বলে ছক্কা হাঁকালেও শেষপর্যন্ত ৭ রানে ম্যাচ হারল পুনে।