মাঠের বাইরে বিরাট কেমন, অনুষ্কার সঙ্গে কীভাবে সংসার সামলান
মাঠের মধ্যে বিরাট কোহলি কেমন তা অনেকেই জানেন। বিরাটের আগ্রাসী মনোভাব দেখে অনেক সময় এটাও মনে হয়, অল্পেতেই বোধ হয় তিনি রেগে যান, উত্তেজিত হয়ে পড়েন। নিজে বারেবারেই জোর দেন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে। মাঠের মধ্যে তাঁর আচরণ নিয়ে চেন্নাই টেস্ট চলাকালীন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ মাঠে দাঁড়িয়ে প্রকাশ করায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহল থেকে বিরাটের শাস্তির দাবিও করা হয়। ২০০৮ সালে অভিষেকের পর তাঁর ঝুলিতে ২২ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান, ৭০টি শতরান-সহ। বিরাটের অ্যাগ্রেসন সতীর্থদেরও মাঠে তাতিয়ে দিতে আমরা দেখেছি, বিরাটের এই মনোভাবকে সমীহ করে বিপক্ষ দলও। তবে মাঠের বাইরে বিরাট সম্পূর্ণ অন্যরকম একজন মানুষ বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক শরণদীপ সিং।
দল নির্বাচনের বৈঠকে বিরাট কেমন ভূমিকা পালন করেন তা একটি ক্রীড়া বিষয়ক পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তুলে ধরেছেন শরণদীপ। তাঁর কথায়, বিরাট দল নির্বাচনের বৈঠকে যোগ দিলে তা এক-দেড় ঘণ্টা ধরে চলবেই। বিরাট সকলের কথা মন দিয়ে শুনতে ভালোবাসেন। সব শুনে, জেনে, বুঝে তিনি নিজের মতামত জানান। সাধারণ মানুষ বিরাটকে মাঠের মধ্যে দেখেন। ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ের সময় চার্জড-আপ থাকেন। দেখে মনে হতেই পারে তিনি উদ্ধত, অল্পেতে রেগে যান, কারও কথা শোনেন না। বাস্তবে তা ঠিত নয়। মাঠে আগ্রাসী থাকলে বাস্তবে বিরাট একজন মাটির মানুষ, ডাউন-টু-আর্থ। দল নির্বাচনের বৈঠকে তিনি নম্রভাবে সব কিছু শুনে ভেবে মতামত দেন। শরণদীপ বলেন, মাঠে বিরাটকে আগ্রাসী থাকতেই হয়, তার কারণ তিনি দলের অধিনায়ক। বিপক্ষকে এতটুকু জমি ছাড়তে না দিয়ে সমস্ত চাপ কাঁধে নিয়ে তাৎক্ষণিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হয়।
অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও বিরাট কতটা দায়িত্বশীল স্বামী সে কথাও জানিয়েছেন শরণদীপ। বিরাট-অনুষ্কা বাড়িতে কোনও পরিচারক-পরিচারিকা রাখেন না। শরণদীপ জানিয়েছেন, ওঁদের বাড়িতে কোনও পরিচারক-পরিচারিকা নেই। বাড়িতে কেউ গেলে খাবার পরিবেশন নিজের হাতেই করেন বিরাট-অনুষ্কা। অতিথির সঙ্গে বসে, গল্পগুজব করে একসঙ্গে খেতে পছন্দ করেন বিরাট। শক্ত মনের প্রত্যয়ী, ডাউন-টু-আর্থ বিরাটকে তাই সকলেই সম্মান করেন।