কাল ওমানের বিরুদ্ধে নামছে সুনীল-হীন ভারত, তারুণ্যে আস্থা স্টিমাচের
কাল আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলিতে দুবাইয়ে ওমানের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারতীয় দল। সুনীল ছেত্রীকে নামাই খেলতে ইগর স্টিমাচের দল। ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে। এআইএফএফ জানিয়েছে, খেলা দেখা যাবে ইউরোস্পোর্টসে।
ওমান ম্যাচের পর ২৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধেও একটি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলবে ভারত। ওমানের বিরুদ্ধে দল নামানোর আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনালো ইগর স্টিমাচের গলা। অসুস্থতার কারণে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই দল নামাতে হলেও বিন্দুমাত্র চিন্তায় নেই তিনি। স্টিমাচ বলেন, আমি যখন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন সুনীলকেও বলেছিলাম জায়গা ধরে রাখতে তোমাকেও লড়াই করতে হবে। এটা চলতেই থাকবে। এটা ছাড়া সাফল্য আসে না। আমি অতীতের উপর নির্ভর করি না। আগের ফলাফলের উপর নির্ভর করে ফুটবলারকে খেলাব এটা যেমন ঠিক, তেমনই তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে জাতীয় দলে সুযোগের জন্য। সকলের উপর নজর রাখি। সেই নিরিখেই প্রথম একাদশ ঠিক করি। ২০২৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করাই এখন আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য তিনটি ম্যাচ রয়েছে। তাতে ভালো ফলের জন্য আমার দলের ফুটবলারদের পর্যাপ্ত সময় ও প্রস্তুতির সুযোগ দেব। উল্লেখ্য, আইএসএলের পর গত ১৫ মার্চ থেকে দুবাইতেই ভারতীয় দলের শিবির আয়োজন করা হয়েছে।
ব্লু টাইগারদের দলে ১৩ জন ফুটবলার রয়েছেন যাঁদের বয়স ২৩-এর নীচে। অভিজ্ঞ সেন্ট্রাল ব্যাক সন্দেশ ঝিঙ্গান দলের প্রস্তুতিতে খুশি। তিনি বলেছেন, নতুন ছেলেদের দেখে ভালোই লাগছে। আপুইয়া, সুরেশ সিং, সানা ইতিমধ্যেই কোচের আস্থা অর্জন করেছেন। আমি যখন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলাম, তখন সিনিয়ররা সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু এখনকার তরুণ ফুটবলাররা মানসিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েই এসেছেন। আমার বিশ্বাস, সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে তাঁরা নিজেদের উজাড় করে দেবেন। ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে গুয়াহাটিতে আমাদের ওমানের বিরুদ্ধে জেতার সুযোগ ছিল। অল্পের জন্য হয়নি। তবে এই ধরনের ম্যাচে নিজেদের অগ্রগতি বোঝা যায়। এশিয়াতে সমীহ আদায়ে এইসব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ।
বিপক্ষের কোচ আবার স্টিমাচের বন্ধু। ওমানের খেলা দেখে ছক তৈরি রাখছেন স্টিমাচ। তিনি বলেছেন, শেখার উপর জোর দিতে হবে। কাতার বা ওমানের বিরুদ্ধে খেলার সময় যত না চাপ থাকবে তার থেকে বেশি থাকবে বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। গোলের সুযোগ তৈরি করা, ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা এ সব তখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ভালো ফুটবল খেলার উপরেই আপাতত জোর দিচ্ছি।