ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইনে উপকৃত হবে ভারতই, মনে করে আইসিসি
ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইনে উপকৃত হবে ভারতই, মনে করে আইসিসি
ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইনে ভারতীয় ক্রিকেটই উপকৃত হবে বলে মনে করে আইসিসি। সংস্থার দুর্নীতি বিরোধী শাখার কো-অর্ডিনেটর স্টিভ রিচার্ডসন মনে করেন, নতুন আইনে অপরাধ এবং অপরাধীর সংখ্যা কমবে। ২০২১-এর টি-টোয়েন্টি ও ২০২৩-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ পরিচালনা করতে বিসিসিআই-এর ঝক্কিও কমবে বলে মনে করেন রিচার্ডসন।
ভারতে বিশ্বকাপ
২০২১ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসার কথা। কোনও অঘটন না ঘটলে অক্টোবরে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও হবে ভারতেই। দুই ইভেন্টের সফল আয়োজনে ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিসিআই।
ভারতেরই সুবিধা
দুই বছর অন্তর দুটি বড় ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করা মুখের কথা নয়। টুর্নামেন্টকে ঘিরে ম্যাচ ফিক্সিং, দুর্নীতি সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক প্রবণতা, আয়োজক দেশ ভারত ও বিসিসিআই-এর ঝক্কি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ম্যাচ ফিক্সিং বিরোধী নির্দিষ্ট কোনও আইন না থাকায় পুলিশের সদিচ্ছা থাকলেও অপরাধীরা অধরাই থেকে যায়। নতুন আইনে সে সব অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করে আইসিসি।
শ্রীলঙ্কাই দৃষ্টান্ত
শ্রীলঙ্কাই দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ যারা ম্যাচ ফিক্সিং-এর বিরুদ্ধে আইন তৈরি করেছে। অপরাধীদের সর্বাধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সে দেশে। শ্রীলঙ্কাকে দেখে বাকি দেশগুলির শেখা উচিত বলে মনে করেন দুর্নীতি বিরোধী শাখার কো-অর্ডিনেটর স্টিভ রিচার্ডসন।
তালিকায় ৮ থেকে ১০ জন
আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী শাখার কো-অর্ডিনেটর স্টিভ রিচার্ডসনের মতে, ভারতে আট থেকে দশ জনের ওপর তাঁদের নজর রয়েছে। ওই ব্যক্তিরা নিয়মিতই ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকে বলে দাবি রিচার্ডসনের। তাঁর বক্তব্য, যথার্থ আইনের অভাবে সেই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ। নতুন আইন তৈরি হলে কোনও অপরাধী রেহাই পাবে না বলে মনে করেন আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী শাখার কো-অর্ডিনেটর স্টিভ রিচার্ডসন।
'কপিলের ওই একটা ক্যাচই ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল'