ওমিক্রনের চোখরাঙানিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় যা চতুর্থ ঢেউ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট বাতিলের পথেই হেঁটেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। এমনকী আইপিএলের ধাঁচে যে মজানসি সুপার লিগ বা এমএসএল হয় প্রতি বছর, তাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে থামছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
|
ক্লোজড ডোর সিরিজ
ভারতীয় দল এই মুহূর্তে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে। কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য রাখা হয়নি। কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ও তৈরি হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল সেঞ্চুরিয়ন, জোহানেসবার্গ, পার্ল ও কেপ টাউনে টেস্ট ও একদিনের সিরিজের ম্যাচগুলিতে সীমিত সংখ্যক দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু বিসিসিআই ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করেছে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হবে সব ম্যাচ।
|
ঝুঁকি এড়িয়ে সিদ্ধান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও যে বিধিনিষেধ চালু রয়েছে তা অনুযায়ী, খেলার মাঠে সর্বাধিক ২ হাজার জনের প্রবেশাধিকার রয়েছে, তবে সকলেরই ভ্যাকসিনের সব ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হলো না। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তা থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে ক্রিকেট-ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। বায়ো বাবল নিশ্ছিদ্র রাখতে এবং করোনা সংক্রমণের প্রভাব যাতে সিরিজের উপর না পড়ে সে কারণেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
|
বিকল্প ভাবনা
বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কর্পোরেট বক্স খোলা থাকলেও সেখানেও অর্ধেক আসনই ভর্তি রাখা যাবে। সাধারণ দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে না পারলেও খেলার আমেজ থেকে যাতে বঞ্চিত না হন সে কারণে বিকল্প ভাবনা তৈরি রাখছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। সীমিত সংখ্যক সমর্থকদের রেখে যাতে ফ্যান পার্ক তৈরি করা যায় তেমন পরিকল্পনাও চলছে।
|
ওমিক্রনের চোখরাঙানিতেও ক্রিকেট
দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ভারতীয় দলের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত বছর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজও দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। সীমিত সংখ্যক দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় গত মাসে নেদারল্যান্ডস সিরিজে। কিন্তু ওমিক্রনের জন্য একটি ম্যাচের পরই সিরিজ স্থগিত হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে এমএসএল হওয়ার কথা ছিল। সেটাও বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিদিনই প্রায় ১৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। একটা সময় সেই সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছেছিল। গাউতেং প্রভিন্সে যেখানে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দুটি টেস্ট হবে, সেখানে সংক্রমণের হার বেশি।
(ছবি- বিসিসিআই টুইটার)