গোলাপি বলের টেস্টের আগে বিরাটকে নিয়ে উদ্বেগ
দিল্লির দুজনেই শতকের অপেক্ষায়। মোতেরায় কপিল দেবের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে একশোটি টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করবেন ইশান্ত শর্মা। আর অধিনায়ক বিরাট কোহলি অপেক্ষায় শতরানের। দু বছরের বেশি সময় ধরে শতরান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। ২০১৪ সালে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাঁর ব্যাটে শতরানের এমন লম্বা খরা সচরাচর দেখা যায়নি।
২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষ টেস্ট শতরান পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কলকাতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের গোলাপি বলে টেস্টে তিনি করেছিলেন ১৩৬ রান। তারপর নিউজিল্যান্ড সফরে দুটি, অস্ট্রেলিয়ায় একটি ও চেন্নাইয়ে দুটি টেস্ট খেলেছেন বিরাট। দশটি ইনিংসে শতরান আসেনি। তিনটি অর্ধশরান করলেও তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি বিরাট। তবে অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম ইনিংসে তিনি ৭৪ রান করেছিলেন। গোলাপি বলে নিজের তৃতীয় টেস্ট তথা দেশের মাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে তাই বিরাটের ব্যাট অপেক্ষায় আরও একটি টেস্ট শতরানের।
টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর ২০১৬ থেকে ২০১৯ অবধি রীতিমতো দাপট দেখিয়েছেন বিরাট কোহলি। দেশের মাটিতে তো বটেই, বিদেশেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে তিনটি দ্বিশতরান করেছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দ্বিশতরান করেছেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে অ্যাডিলেডে জোড়া শতরান-সহ সিরিজে চারটি শতরান করেন। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে শতরান পান। তারপর ১২তম ইনিংসে ২০১৬ সালে গিয়ে শতরান পান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে। নর্থ সাউন্ডে করেছিলেন ২০০। তারপর থেকে দেশে, দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি দ্বিশতরান-সহ ১৫টি শতরান করেন। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সফরে জ্বলে ওঠে বিরাটের ব্যাট। ২০১৯ সালে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিনি খেলেন ২৫৪ রানের ইনিংস। কিন্তু ইডেনে গোলাপি বলে টেস্টের পর থেকেই তাঁর ব্যাটে চলছে শতরানের খরা। যার প্রভাব পড়েছে বিরাটের ব্যাটিং গড়েও।
২০২০ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ২, ১৯, ৩, ১৪। করোনা পরিস্থিতির পর অস্ট্রেলিয়ায় একটি টেস্ট খেলেছেন করেন ৭৪ ও ৪। চেন্নাইয়ে শেষ চারটি ইনিংসে তাঁর রান ছিল যথাক্রনে ১১, ৭২, ০ ও ৬২। বেশ কয়েকটি শতরান না পাওয়া বিরাট যখন শতরান করেন তখন বড় শতরানই করেন। ফলে মোতেরায় তাঁর ব্যাট থেকে ২৮তম টেস্ট শতরানের প্রতীক্ষাতেই রয়েছেন ভক্তরা। আর বাকি দুটি টেস্টে শতরান না পেলে ২০২০ সাল থেকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ইনিংসে শতরান না পাওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হবে বিরাটকে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ধরলে বিরাট ৫টি ম্যাচে ১০টি ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ২৬১। ব্যাটিং গড় ২৬.১০। শতরান করেননি, অর্ধশতরান তিনটি।