ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়ানোর টিপস দিয়ে এই প্রাক্তন যেন বিভীষণ!
ইংল্যান্ডকে তৃতীয় টেস্টে দুরমুশ করতে ভারতের দুই দিনও পুরো লাগেনি। ভারতের মাটিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও টেস্ট শেষ হলো দুই দিনে। তবে ক্রিকেট ইতিহাসেও নজির হয়ে থাকল নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এতো কম সময়ে কোনও টেস্ট শেষ হয়নি। এই টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে খেলা হলো ১৪০.২ ওভার। ১৯৪৬ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট শেষ হতে এর চেয়ে ৫ ওভার বেশি লেগেছিল। ইংল্যান্ডের ৮১ রান ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে তাদের সর্বনিম্ন।
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য চতুর্থ টেস্টে সমর্থন করবে ইংল্যান্ডকেই। ইংল্যান্ড জিতলেই অজিদের সামনে খুলতে পারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলার দরজা। তবে পরপর দুইবার ইংল্যান্ড যেভাবে হেরেছে তাতে সেই সম্ভাবনা কম। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫৭৮ রান করার পর থেকে একবারও ২০০-র গণ্ডি পেরোতে পারেনি রুটের দল। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে ধরলে ইংল্যান্ডের স্কোর যথাক্রমে ১৭৮, ১৩৪, ১৬৪, ১১২ ও ৮১। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা যেভাবে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন তার ফলেই বারবার সমস্যায় পড়ছেন দলের ব্যাটসম্যানরা। আগের টেস্টে বিপর্যয় জনি বেয়ারস্টো এসে সামাল দেবেন বলে ভেবেছিল ইংল্যান্ড শিবির। বরং ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৫ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির গড়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইংল্যান্ডের রোটেশন পলিসি। গ্রেম সোয়ান মনে করেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেরা দলই নামানো উচিত। ফর্মে থাকা কাউকে বসিয়ে ছন্দ নষ্ট করার মানে নেই। সুনীল গাভাসকরও তাতে সায় দিয়ে বলেন, দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় কিছু হয় না। গাভাসকর বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে অনুশীলনে গার্ড নেওয়ায় জোর দিক। দেখা গিয়েছে, ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা সোজা বলে আউট হচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন বল ঘুরবে। সেইমতো লেগ বা মিডল স্টাম্পে গার্ড নিচ্ছেন। সুইপ বা অন্য শট মারতে গিয়ে মিস করেই বেশিরভাগ লেগ বিফোর হচ্ছেন। বরং অফ স্টাম্প গার্ড নিয়ে তাঁরা কয়েকদিন অনুশীলন করুক। তাহলে সুফল পেতে পারে ইংল্যান্ড। এ কথা শুনেই গাভাসকরকে ব্যাটিং কোচ বলে ধন্যবাদ জানান সোয়ান। মজাচ্ছলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সানিকে তাই বিভীষণ বলছেন! কারণ ইংল্যান্ড জিতলে বিরাটদের সামনে যে বন্ধ হয়ে যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দরজা!