পুরো ওভার খেলতে পারল না ভারত! সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ৩৩০
পুনেতে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৩৩০ রানের টার্গেট রাখল ভারত। আগের ম্যাচে ৩৩৭ রান তাড়া করে জিতেছিল জস বাটলারের দল। এদিন ভারত পুরো ৫০ ওভারই খেলতে পারল না শেষের চার উইকেট মাত্র ১৪ বলের মধ্যে হারিয়ে। সর্বাধিক ৭৮ রান করেছেন যষভ পন্থ। শিখর ধাওয়ান ৬৭ ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার সংগ্রহ ৬৪ রান। আরও ২০-৩০ রান বেশি রান প্রত্যাশা করছিল ভারতীয় শিবির। হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেন, আমি আর ঋষভ যেভাবে খেলছিলান তাতে ৩৯০ ওঠার সম্ভাবনা ছিল। জিততে ভালো নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে।
ভালো শুরু
আজ রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১০৩ রান, ১৪.৪ ওভারে। ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৩৭ রানে আউট হন রোহিত শর্মা। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন তিনি। রোহিত ফেরার ১২ বল পরেই ফেরেন শিখর ধাওয়ান। ১০টি চারের সাহায্যে ৫৬ বলে ৬৭ রান করেন শিখর। তিনি যখন আউট হতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১১৭। ধাওয়ান রশিদের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। এদিন শতরানের পার্টনারশিপ গড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি মাইলস্টোন পেরিয়ে গেল রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের জুটি। সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর রোহিত-শিখরের ওপেনিং জুটি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৫ হাজার রানের মাইলস্টোন পেরিয়ে যায়। ১১১টি ইনিংসে তাঁদের জুটিতে উঠেছে মোট ৫,০৮১ রান। সচিন-সৌরভের জুটিতেই এখনও অবধি সবচেয়ে বেশি ১৩৬ ইনিংসে ৬,৬০৯ রান উঠেছে। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও ম্যাথু হেডেন রয়েছেন সচিন-সৌরভের পরেই, অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনিং জুটির মোট রান ৫,৩৭২। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ও ডেসমন্ড হেইন্সের জুটি (৫,১৫০) রয়েছে তিনে, রোহিতদের ঠিক আগে।
ব্যর্থ বিরাট, রাহুল
শিখর ধাওয়ান ফেরার পাঁচ বল পরেই আউট হন বিরাট কোহলি। ১০ বলে ৭ রান করে মঈন আলির ঘূর্ণিতে ঠকে ক্লিন বোল্ড হন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বল গিয়ে লাগে লেগ স্টাম্পে। এই নিয়ে ৯ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মঈন আলির শিকার হলেন বিরাট। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি বিরাটকে ১০ বার আউট করেছেন। মঈন আলি ও আদিল রশিদ ৯ বার করে বিরাটের উইকেট পেয়েছেন। গ্রেম সোয়ান, জেমস অ্যান্ডারসন ও বেন স্টোকসের বলে আটবার করে আউট হয়েছেন বিরাট। ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়ে ১২১ রানে। ১৮ বলে ৭ রান করে লোকেশ রাহুল আউট হন দলের ১৫৭ রানের মাথায়।
পন্থের টানা অর্ধশতরান
ঋষভ পন্থ এদিন চারে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে লোকেশ রাহুল ও পরে হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় রান তোলার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। শুরু থেকেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন পন্থ। ৪৪ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ছক্কা হাঁকিয়ে। এদিন তিনি আগের দিন করা নিজের সেরা রানও টপকে যান। তবে ফের শতরান মাঠে ফেলে আসেন যষভ পন্থ। যেভাবে খেলছিলেন এবং যা সময় ছিল তাতে টিকে থাকলে শতরান নিশ্চিত ছিল। ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৬২ বলে ৭৮ করে তিনি স্যাম কারানের বলে কট বিহাইন্ড হন ৩৬ ওভারে দলের ২৫৬ রানের মাথায়। পন্থ-পাণ্ডিয়া জুটিতে ১১.৪ ওভারে ওঠে ৯৯ রান।
পাণ্ডিয়ার হাফ সেঞ্চুরি
এদিন ৩৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। বেন স্টোকসের বলে ৩৯ ওভারে বোল্ড হন তিনি। পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৪ করেন হার্দিক। এরপর শার্দুল ঠাকুর ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার জুটি ভারতের রান তিনশো পার করে দেয়। একটি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৩০ রান করে আউট হন ঠাকুর। ভারতের সপ্তম উইকেট পড়ে ৪৬ ওভারে ৩২১ রানের মাথায়।
ভারত পুরো ওভার খেলতে ব্যর্থ
ভারত অল আউট হয়ে যায় ৩২৯ রানে। শেষ ১৪ বলে চার উইকেট হারায় ভারত। ৪৮.২ ওভারে ৩২৯ রানেই অল আউট হয়ে যায় বিরাট কোহলির দল। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ২৫ রানে আউট হন। ভুবনেশ্বর কুমার ৩, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ০ রানে আউট হন। সাতজন বোলার ব্যবহার করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ৩৪ রানে তিনটি উইকেট নেন এই ম্যাচে টম কারানের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মার্ক উড। আদিল রশিদ তিনটি এবং স্যাম কারান, রিস টপলে, মঈন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন একটি করে উইকেট দখল করেন।