ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল ফ্রন্টিয়ারের আগে ধাক্কা খেল চাপে থাকা ইংল্যান্ড
কাল সিরিজ নির্ণায়ক পঞ্চম তথা সিরিজের শেষ টি ২০ ম্যাচে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড। এই ম্যাচ খেলেই দুই দল পাড়ি দেবে পুনেতে, তিন ম্যাচের একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে। তবে ফাইনাল ফ্রন্টিয়ারের আগে ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড। স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা হলো ইয়ন মর্গ্যানদের।
ইংল্যান্ডের জরিমানা
গতকাল চতুর্থ টি ২০ ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে ৮ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। সিরিজ দাঁড়িয়ে ২-২-এ। এই ম্যাচেই নির্ধারিত সময় অবধি এক ওভার কম বল করার দায়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের প্রত্যেকের ২০ শতাংশ জরিমানা ধার্য করেছেন আইসিসি-র এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ। উল্লেখ্য, চলতি সিরিজেই ভারতকেও একই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
চাপ উপভোগ্য
সিরিজের শেষ ম্যাচে সিরিজ ফয়সালা হবে। এই চাপটা অবশ্য উপভোগই করছে ইংল্যান্ড শিবির। ভারতের মতো বিশ্বের এক নম্বর দল ইংল্যান্ডও টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে এই সিরিজকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২০ সালে রান তাড়া করতে গিয়ে ১১টা ম্যাচের মধ্যে গতকালের ম্যাচ ধরে তিনটি হারল ইংল্যান্ড। তবে এই তিন ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান মাত্র ১, ৫ ও ৮ রানের। ২৩ বলে ৪৬ রান করেন বেন স্টোকস। বেয়ারস্টোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ ভাঙার পর শার্দূল ঠাকুরের বলে আউট হন স্টোকস। তার পরের বলেই ফেরেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। তাঁরা ক্রিজে থাকতে পারলে খেলার ফল অন্যরকম হতো বলেই বিশ্বাস ইংল্যান্ডের।
স্টোকস আত্মবিশ্বাসী
বেন স্টোকস অবশ্য সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের দিকে তাকিয়ে। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেই টি ২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে। তার কয়েক মাস আগে সেখানে একইরকম পরিস্থিতি উপভোগ করছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা। স্টোকস বলেছেন, সিরিজ জয় নিশ্চিত করে শেষ ম্যাচ খেলতে গেলে ভালো হতো। তবে আমরা গতকালের হারকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছি বিশ্বকাপের কথা ভেবে। চাপ যত বাড়বে তত আমাদের দলগত খেলাও যে ভালো হবে সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, শেষ ম্যাচে আমাদের উপর প্রভূত চাপ থাকবে। এই ম্যাচ এখন ফাইনাল। যে জিতবে সিরিজ তাদের। ফলে পরের ম্যাচটি আমরা ফের জিততে চাই এবং জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।
আর্চারের প্রশংসা
স্টোকস মনে করছেন, তিনি অথবা মর্গ্যান শেষ অবধি থাকলে ম্যাচ বের করতে অসুবিধা হতো না। বিশেষ করে হাতে থাকা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ স্টোকস। তবে বিশ্বকাপেও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ধরে নিয়ে এই হার থেকেও শিক্ষা নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করছে বিশ্বের এক নম্বর দল। বল হাতে চার উইকেট নেওয়া জোফ্রা আর্চার ব্যাট হাতেও মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচ বের করার। শেষ ওভারে উত্তেজক পরিস্থিতিও তৈরি করেছিলেন। আর্চারের বোলিং দক্ষতার প্রশংসা করে স্টোকস বলেন, টপ অর্ডারদের বিরুদ্ধে বল করার পর ডেথ ওভারে বল করা একজন বোলারের কাছে কঠিন পরীক্ষা। তবে আর্চার সাদা বল হাতে নিজেকে যে উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন তাতে আমরা আর অবাক হই না তাঁর এমন পারফরম্যান্স দেখে।