ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ হারের হ্যাটট্রিক এড়াতে বদ্ধপরিকর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
টেস্ট ও টি ২০ সিরিজে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছে। একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশ্বসেরা ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড কাল থেকে শুরু হতে চলা তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে কিছুটা সম্মান পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। ঘরের মাঠে শক্তিশালী ভারতকে হারাতে তাঁর দলের যে ক্রিকেটাররা যে প্রত্যয়ী, সিরিজ শুরুর আগের দিন তা স্পষ্ট করে দিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। পুনেতেও ঘূর্ণি উইকেট হলে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস এই সিরিজে খেলতে চাওয়ায় তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মর্গ্যান।
দুটি টেস্ট না খেলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আগে দেশে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে ভারতে এসেছেন মঈন আলি। তবে গোটা টি ২০ সিরিজে বসে থেকেছেন। তাঁকে এই সিরিজে দেখে নিতে পারে ইংল্যান্ড। আইপিএল-সহ ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অলরাউন্ডার মঈনের। তবে প্রথম ম্যাচেই যে তিনি খেলবেন সে নিশ্চয়তা মর্গ্যান দেননি। আরও যে ক্রিকেটারদের এই সিরিজে ইংল্যান্ড দেখে নিতে চাইবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাঁরা হলেন রিস টপলে ও স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন।
তিনি বলেন, টি ২০ সিরিজ হারলেও অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতির সুযোগ একদিনের সিরিজেও থাকছে। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের আগে নিজেদের দাবি জোরালো করার সুযোগ অনেক ক্রিকেটার পাবেন বিদেশের মাটিতে ভালো ব্যাটিং বা বোলিং করলে। টি ২০ ক্রিকেটের মতো পরিস্থিতি একদিনের আন্তর্জাতিকেও তৈরি হয়। সে কারণেই সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটের দলেও বেশি রদবদল হয় না। ভারতে খেলা কঠিন। তবে এটাও আমাদের পক্ষে একটা ভালো সুযোগ দিচ্ছে যে, আমরা কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে কেমন খেলছি। সেই অভিজ্ঞতা, ভুল থেকে নেওয়া শিক্ষা আমাদের দলকে সমৃদ্ধ করছে।
সদ্যসমাপ্ত টি ২০ সিরিজ নিয়ে মর্গ্যান বলেন, ট্রফি জিততে না পারলেও এই সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সবমিলিয়ে এই সফর আমাদের কাছে অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। বিশ্বকাপ জিততে হলে সব সিরিজ জেতা তো বাধ্যতামূলক নয়। তবে ক্রমাগত খেলার উন্নতি হচ্ছে কিনা সেটা বড় বিষয়। হার জীবনের অন্যতম অঙ্গ, তবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দুই দলের শেষ সাক্ষাতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েও একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ হেরেছিলেন বিরাট কোহলিরা। অস্ট্রেলিয়া সফরেও একদিনের সিরিজ জিততে পারেনি ব্যর্থ। টেস্ট ও টি ২০ সিরিজ জেতার পর একদিনের সিরিজেও ইংল্যান্ডকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী ভারত। বিশ্বকাপ জেতার পর ইংল্যান্ড হেরেছে চারটি এবং চারটি একদিনের ম্যাচে জিতেছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হেরেছে। এমনকী আয়ারল্যান্ডও ৩২৯ রানের টার্গেট তাড়া করে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। সবমিলিয়ে একই মাঠে তিন ম্যাচের উপভোগ্য সিরিজের দিকেই তাকিয়ে মর্গ্যানরা।