ভারতের সর্বকালের সেরা! ভরত অরুণ জানালেন ভারতীয় বোলিং-ধারাবাহিকতার নেপথ্য় কাহিনী
ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণের দাবি, সম্ভবত এই মুহুর্তে ভারতের হাতে দেশের সর্বকালের সেরা জোরে বোলারদের গ্রুপ রয়েছে।
অ্যাডিলেড টেস্টে ভারত খেলেছিল মাত্র ৪ বোলারে - ৩ জোরে বোলার ও একমাত্র স্পিনার অশ্বিন। তাতেই দুই ইনিংস মিলিয়ে ফেলে দেওযা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ২০টি উইকেট। অশ্বিন ও বুমরা ৬টি করে উইকেট নিয়েছেন। শামি ৫টি ও ইশান্ত বাকি ৩টি। শুধু তাই নয়, ভারতীয় বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নজরে পড়েছে অ্যাডিলেডে। ম্য়াচ জয়ের পর অধিনায়ক বিরাট জানিয়েছিলেন বোলারদের নিয়ে তিনি 'সুপারপ্রাউড'।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর), সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণ দাবি করলেন, 'সম্ভবত এই মুহূর্তে ভারতের হাতে দেশের সর্বকালের সেরা জোরে বোলিং আক্রমণ রয়েছে।' তাঁর মতে পেসারদের ধারাবাহিকতাই বিদেশ সফরে ভারতকে প্রতিপক্ষর থেকে এগিয়ে দিচ্ছে। শুনে নেওয়া যাক অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে বোলিং কোচের পর্যবেক্ষণ।
জোরে বোলারদের ধারাবাহিকতা
ভরত অরুণ জানিয়েছেন শুধু অ্য়াডিলেড টেস্টেই নয়, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইংল্যান্ডেও ভারতীয় জোরে বোলাররা যেভাবে পারফর্ম করেছেন, তাতে এই জোরে বোলিং আক্রমণকেই ভারতের সর্বকালের সেরা বলে দেওয়া যায়। ভারতীয় হিসেবে জোরে বোলারদের ভাল পারফর্ম করতে দেখাটা অত্যন্ত আনন্দের। একজন -দুজন নয়, ভারতের হাতে এই মুহূর্তে একঝাঁক ভাল জোরে বোলার এসেছে। তাদের ধারাবাহিকতাই অন্য়ান্য সময়ের থেকে এই একঝাঁক বোলারকে আলাদা করে দিয়েছে।
কীভাবে এল এই ধারাবাহিকতা
তিনি জানান এই ধারাবাহিকতা এসেছে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনামাফিক অনুশীলনে। শুরুতে ধারাবাহিকতার অভাবি প্রধান চিন্তার কারণ ছিল। কিন্তু সেই সমস্য়াকে চিহ্নিত করে তার সমাদানের জন্য তাঁরা খাটতে শুরু করেন। বোলাররা এর জন্য প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নেটে সবসময় একটি বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করা অভ্যাস করেন ভারতীয় বোলাররা। যার সুফল এখন মাঠে মিলছে।
অ্যাডিলেডে অশ্বিন
ভরত অরুনের মতে স্পিনাররা হলেন ওয়াইনের মতো, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভাল হয়। অশ্বিনও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ভাল বল করছেন। তিনি জানিয়েছেন অ্যাডিলেডে এক প্রান্ত থেকে অশ্বিন একটানা বল করে যাওয়াতেই অন্য প্রান্তে জোরে বোলাররা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করতে পেরেছেন। অশ্বিনের উপর এই দায়িত্বই দেওয়া ছিল। আর তিনি তা দুর্দান্তভাবে পালন করেছেন।
পার্থ-এর পিচ
তিনি জানান, পার্থ-এর অতিরিক্ত বাউন্স ও পেস দেখে অনেক সময়েই বোলাররা ভেসে যান। বেশি কিছু করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু যে কোনও উইকেটেই ধারাবাহিকতাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাই পার্থ টেস্টেও বোলাররা যাতে নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন, সেদিকেই নজর দেওয়া হবে।