কটকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সমতা ফেরাতে ভারতের পুঁজি ১৪৮, ফিনিশার হিসেবে ভরসা দিলেন কার্তিক
কটকে সিরিজের দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত তুলল ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। ৩৫ বলে সর্বাধিক ৪০ রান শ্রেয়স আইয়ারের। ২১ বলে ৩৪ রান করলেন ঈশান কিষাণ। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ১, ঋষভ পন্থ ৫ ও হার্দিক পাণ্ডিয়া ৯ রানে আউট হন। ফিনিশার দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে হর্ষল প্যাটেলের যোগ্য সঙ্গতে ভারত লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে যায়।
ঋতুরাজ রাবাডার ৫০তম টি ২০ আন্তর্জাতিক শিকার
দিল্লির পর কটকেও টস জিতে ফিল্ডিংই নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৪ বল খেলে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ঋতুরাজকে আউট করে টি ২০ আন্তর্জাতিকে নিজের ৫০তম উইকেটটি দখল করেন কাগিসো রাবাডা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ার ৩৫ বলে ৪৫ রান যোগ করেন। ৬.৪ ওভারে কিষাণ আনরিখ নরকিয়ার শিকার। দুটি ছয় ও তিনটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ২১ বলে ৩৪। তিন রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ভারতের দ্বিতীয় উইকেটটি পড়ে ৪৮ রানে।
ভিত গড়লেন কিষাণ-শ্রেয়স
৯.১ ওভারে ঋষভ পন্থ কেশব মহারাজের বলে ৭ বলে ব্যক্তিগত ৫ রান করে আউট হন দলের ৬৮ রানে। ১২.৪ ওভারে হার্দিক পাণ্ডিয়া ১২ বলে ৯ রান করে ওয়েন পার্নেলের বলে বোল্ড হলে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৯০। বড় রানের দিকে এগোচ্ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু ১৩.৫ ওভারে তিনি ডোয়েইন প্রিটোরিয়াসের বলে কট বিহাইন্ড হন। দুটি করে চার ও ছয় মেরে শ্রেয়স করেন ৩৫ বলে ৪০। ভারতের পঞ্চম উইকেটটি পড়েছিল ৯৮ রানে। ১৭তম ওভারের শেষ বলে অক্ষর প্যাটেলকে বোল্ড করেন নরকিয়া। অক্ষর ১১ বলে ১০ রান করেন। ১১২ রানে পড়ে ভারতের ষষ্ঠ উইকেট।
সর্বাধিক স্কোর আইয়ারের
ভারতের পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪২। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ওঠে ৬২ রান, তবে এই সময়টায় চারটি উইকেট হারায় ভারত। ১৫ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১০৪। শেষ পাঁচ ওভারে এক উইকেটের বিনিময়ে ওঠে ৪৪ রান। দীনেশ কার্তিকের রান বেশ কিছুক্ষণ বলের চেয়ে কম থাকলেও শেষের দিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ডিকে। শেষ ওভারে ডোয়েইন প্রিটোরিয়াসের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। ২০তম ওভারে ১৮ রান ওঠে। তার আগের ওভারে নরকিয়ার বলে দুটি চার মারেন কার্তিক। ১৮ ওভারের শেষে তাঁর স্কোর ছিল ১৪ বলে ৮, পরের ওভারে তা দাঁড়ায় ১৮ বলে ১৭। ইনিংসের শেষে কার্তিক অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৩০ রানে। দুটি করে চার ও ছয় মেরেছেন। ৯ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন হর্ষল প্যাটেল।
সফলতম নরকিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে আনরিখ নরকিয়া চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। কাগিসো রাবাডা চার ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন, একটি উইকেট পান তিনিও। আগের ম্যাচের মতো কেশব মহারাজকে দিয়ে বোলিং ওপেন না করিয়ে রাবাডাকে প্রথম ওভার করতে ডাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা। ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস চার ওভারে ৪০, কেশব মহারাজ ২ ওভারে ১২ ও ওয়েন পার্নেল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পান।