তৃতীয় টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন আর এক উইকেট
তৃতীয় টেস্ট জেতার খুব কাছে ভারত।
ট্রেন্ট ব্রিজে তৃতীয় টেস্টে জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়া। আর এই পরিস্থিতিতেই শেষ হল তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ড ১০২ ওভারে ৩১১/৯।
এদিন শুরু থেকেই দাপট দেখায় ভারতীয় বোলিং ব্রিগেড। প্রথম সেশন ৬২ রানের মধ্যে তুলে নেয় ইংল্যান্ডের ৪টি উইকেট। কিন্তু এর পরই ইংল্যান্ডকে মজুত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেন জস বাটলার এবং বেন স্টোকস জুটি।
মূলত এই জুটির উপর নির্ভর করেই তৃতীয় টেস্টে হার বাঁচানোর স্বপ্ন দেখা শুরু করে ইংল্যান্ড। নিজেদের মধ্যে ১৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ক্রিকেটার। এ দিনেই টেস্ট কেরিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি পান জস বাটলার। ১৭৬ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২১টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
ইংল্যান্ড সমর্থকদের মনে হার বাঁচানোর স্বপ্ন তৈরি করতে বাটলারকে যোগ্য সঙ্গত দেন বেন স্টোকস। স্বভাবসিদ্ধ ছন্দের বাইরে বেড়িয়ে ১৮৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসে মাত্র ছ'টি চার মারেন স্টোকস।
ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া এ দিন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কোনও ইংলিশ ক্রিকেটারই। এই ম্যাচে ফের ব্যর্থ ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। ১৭ রানে আউট হন অ্যালেস্টার কুক। কিটন জেনিংস প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৩ রানে।
রান পাননি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুটও (১৩)। ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওলি পোপ। উইকেট কিপিংয়ের সময়ে চোট পাওয়া জনি বেয়াস্ট্রো প্রথম বলেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ৪ রানে আউট হন লর্ডস টেস্টের নায়ক ক্রিস ওকস। ২০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ উইকেটে লড়ছেন আদিল রশিদ এবং জেমস অ্যান্ডারসন। যেই পিচে অধিকাংশ ইংলিশ ক্রিকেটার ব্যর্থ হয়েছেন, সেই পিচে কী ভাবে লড়াই করতে হয় দেখাচ্ছেন আদিল রশিদ। ৫৫ বল খেলে ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন রশিদ। ৮ রান করে তাঁকে সঙ্গত দিচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন।
ভারতের হয়ে এই ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা। দু'টি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। একটি করে উইকেট মহম্মদ সামি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার।