ভারত সপ্তমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে উঠল; তিরাশির পরে ইংল্যান্ডে এই প্রথম
অবশেষে দেরিতে হলেও ভারত দ্বাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে উঠল।
অবশেষে দেরিতে হলেও ভারত দ্বাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে উঠল। এজবাস্টনের মাঠে, যেখানে ৪৮ ঘন্টা আগেই ইংল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে হেরে মাথা হেঁটে হয়েছিল বিরাট কোহলির দলের, সেখানেই মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছল তারা। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াই শুধুমাত্র বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছিল। ভারতের পৌঁছনোটা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে হারাতে তা আরেকটু বিলম্বিত হয়। তবে মঙ্গলবারের জয়ে সেই আনুষ্ঠানিকতাও পূরণ হল।
এই নিয়ে ভারত টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে পৌঁছল যা ইতিহাসে প্রথম। এর আগে ২০১১ এবং ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও ভারত সেমি-ফাইনালে পৌঁছয়। দু'বারেই অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথমবার অস্ট্রলিয়াকে কোয়ার্টার-ফাইনালে হারিয়ে এবং তার পরের বার বাংলাদেশকে কোয়ার্টার-ফাইনালে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছয় ভারত। তবে দেশের মাটিতে এগারো সালের সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতলেও পনেরোতে আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়ার কাছে তারা হেরে যায়। খোয়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট।
এবারে ভারতের সেমি-ফাইনালের প্রতিপক্ষ কে হতে পারে তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যাবে বুধবারই, ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পরেই।
তিরাশিতে ভারত প্রথম সেমি-ফাইনালে উঠেছিল বিশ্বকাপে
ভারত এই নিয়ে সপ্তমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে উঠল। প্রথমবার তারা ওঠে ১৯৮৩ সালে কপিলদেবের নেতৃত্বে এবং সেমি-ফাইনালে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায়। পরের বার, অর্থাৎ ১৯৮৭তে ফের তারা পৌঁছয় সেমি-ফাইনালে কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে হারে ৩৫ রানে।
এর পরে ভারত আবার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠে ১৯৯৬ সালে, পাকিস্তানকে কোয়ার্টার-ফাইনালে হারিয়ে। মহম্মদ আজহারউদ্দিনের দল অবশ্য সেবারে শ্রীলঙ্কার কাছে জঘন্যভাবে হারে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।
২০০৩-এ সৌরভের অধিনায়কত্বে ওঠে সেমি-ফাইনালে
এরপর ২০০৩ সালে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে কেনিয়ার সঙ্গে মোলাকাত হয় ভারতের এবং তাদের একপেশে ম্যাচে হারিয়ে ভারত দ্বিতীয়বার পৌঁছয় ফাইনালে। যদিও ফাইনালে সেবারে তারা গোহারা হারে রিকি পন্টিং-এর অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
ভারত এরপরে সেমি-ফাইনালে ওঠে আবার ২০১১তে আর সেবারে তারা ফাইনালে উঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জিতে নেয় তাদের দ্বিতীয় বিশ্বসেরার শিরোপা।
[আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের সমস্ত খবর দেখুন একনজরে]