রায়পুরে সচিন-লারা জমজমাট দ্বৈরথ, শেষ হাসি হাসলেন কে?
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত লেজেন্ডস। ব্রায়ান লারার সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন সচিন তেন্ডুলকরই। যদিও সচিনের পর লারার দুরন্ত ব্যাটিংয়েরও সাক্ষী থাকল রায়পুর। সচিনের দল জয় পেল ১২ রানে।
বীরু ঝড়
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডস অধিনায়ক ব্রায়ান লারা। শুরুতেই ঝড় তোলে সচিন-শেহওয়াগ জুটি। ৫ ওভার ৩ বলের মাথায় টিনো বেস্টের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৬। মাত্র ১৭ বলে ৩৫ রান করেন বীরু। মেরেছেন ৫টি চার, একটি ছয়।
সচিনের অর্ধশতরান
বীরু ফেরার পর অধিনায়কোচিত দায়িত্বশীল অর্ধশতরানের মাধ্যমে দলের ভিত মজবুত করেন সচিন তেন্ডুলকর। ৩৬ বপলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তার পরের বলেই ফের ছক্কা হাঁকান। যদিও বীরুর পর সচিনের উইকেটটিও তুলে নেন বেস্ট। ৪২ বলে ৬৫ রান করে আউট হন সচিন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। সচিন আউট হন ম্যাচের পঞ্চদশ ওভারের প্রথম বলে। ভারতের রান তখন ৩ উইকেটে ১৪০। সচিনের আগে আউট হন তিনে নামা মহম্মদ কাইফ। ২১ বলে ২৭ রান করেন তিনি।
যুবি-পাঠানে দুশো পার
এই পরিস্থিতি থেকে ভারত লেজেন্ডসের রান দুশো পার করে দেন যুবরাজ সিং ও ইউসুফ পাঠান। ৩৫ বলে তাঁদের জুটিতে ওঠে ৭৮ রান। ২টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন চারে নামা ইউসুফ পাঠান। তবে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন যুবরাজ সিং। তিনি ব্যাট করতে নামেন পাঁচে। ছটি ছয় ও একটি চারের সাহায্যে ২০ বলে দুরন্ত ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন যুবি। ১৯তম ওভারে নাগামুত্তুর বলে চারটি এবং শেষ ওভারে সুলেমান বেনের বলে দুটি ছক্কা হাঁকান যুবরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডসের বোলারদের মধ্যে সফলতম টিনো বেস্ট। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন তিনি।
পাল্টা জবাব লারাদের
জবাবে দারুণভাবে রান তাড়া শুরু করতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডস। ৩৬ বলে ৬৩ করেছিলেন ওপেনার ডোয়েইন স্মিথ। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে নরসিং দিওনারাইনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তির দিকে নিয়ে যান অধিনায়ক ব্রায়ান লারা। ম্যাচের ১৯তম ওভারে ব্রায়ান লারাকে ফেরান বিনয় কুমার। ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৬ রান করেন লারা।
ফাইনালে সচিনরা
লারা ও দিওনারাইনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৩ বলে ৮০ রান ওঠে। এই জুটিতে জয়ের আশা জাগলেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। শেষ ওভারে ৪৪ বলে ৫৯ করে দিওনারাইন রান আউট হতেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ভারতের সফলতম বোলার বিনয় কুমার। একই ওভারে লারা ও টিনো বেস্টকে আউট করে ম্যাচের মোড় ভারতের দিকে ঘোরান তিনি।
ছবি- রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ